বাঙালি আবেগ ও অস্মিতাকে ধরার চেষ্টা, দুবছর পর ফের দুর্গোৎসবে বিজেপি, দায়িত্বে কে? বিরাট চমক!

Last Updated:
Durga Puja BJP: হিন্দুত্বের চেনা আঙ্গিকে বাঙালিয়ানা-কে জুড়তে চাওয়া নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের কটাক্ষও কম শুনতে হয়নি গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সে সবে কান না দিয়ে এবার ফের বাঙালির অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে বিজেপি। আবার দুর্গেৎসবের আয়োজনে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।
1/7
সাম্প্রতিক অতীতে বার বারই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাঙালি অস্মিতার দিকে ঝুঁকতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এমনকি, শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করার দিনও মঞ্চের পিছনে শ্রীরামচন্দ্রের বদলে দেখা গিয়েছিল কালীঘাট মন্দিরের বিগ্রহের ছবি। সেদিন শ্রীরামের পাশাপাশি মা কালীর নামেও জয়ধ্বনি দিতে শোনা গিয়েছিল বিজেপির নেতাদের।
সাম্প্রতিক অতীতে বার বারই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাঙালি অস্মিতার দিকে ঝুঁকতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এমনকি, শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করার দিনও মঞ্চের পিছনে শ্রীরামচন্দ্রের বদলে দেখা গিয়েছিল কালীঘাট মন্দিরের বিগ্রহের ছবি। সেদিন শ্রীরামের পাশাপাশি মা কালীর নামেও জয়ধ্বনি দিতে শোনা গিয়েছিল বিজেপির নেতাদের।
advertisement
2/7
এই ইস্যুতে হিন্দুত্বের চেনা আঙ্গিকে বাঙালিয়ানা-কে জুড়তে চাওয়া নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের কটাক্ষও কম শুনতে হয়নি গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সে সবে কান না দিয়ে এবার ফের বাঙালির অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে বিজেপি। আবার দুর্গেৎসবের আয়োজনে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।
এই ইস্যুতে হিন্দুত্বের চেনা আঙ্গিকে বাঙালিয়ানা-কে জুড়তে চাওয়া নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের কটাক্ষও কম শুনতে হয়নি গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সে সবে কান না দিয়ে এবার ফের বাঙালির অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আয়োজনে বিজেপি। আবার দুর্গেৎসবের আয়োজনে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।
advertisement
3/7
প্রশ্ন যখন বাংলা বাঙালির অস্তিত্ব নিয়ে তখন সেই আবহে আবারও দুর্গাপুজো শুরু করছে বিজেপি। দু বছরের বিরতির পর এ বছর ইজ়েডসিসি-তে আবার দলীয় উদ্যোগে খুঁটিপুজো সারা হয়েছে আজ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে। তবে এবার পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক সেল, প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ।
প্রশ্ন যখন বাংলা বাঙালির অস্তিত্ব নিয়ে তখন সেই আবহে আবারও দুর্গাপুজো শুরু করছে বিজেপি। দু বছরের বিরতির পর এ বছর ইজ়েডসিসি-তে আবার দলীয় উদ্যোগে খুঁটিপুজো সারা হয়েছে আজ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে। তবে এবার পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক সেল, প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ।
advertisement
4/7
২০২০ সালে, বিজেপির এই ইজেডসিসি পুজোর সূত্রপাত হয় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তের হাত ধরে। তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছাড়পত্রে শুরু হলেও, তখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতারা নাকি জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় মোট কটা পুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা।
২০২০ সালে, বিজেপির এই ইজেডসিসি পুজোর সূত্রপাত হয় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তের হাত ধরে। তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছাড়পত্রে শুরু হলেও, তখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতারা নাকি জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় মোট কটা পুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা।
advertisement
5/7
সেই বছর ঠিক হয়েছিল বিজেপি নেতারা দিল্লি থেকে এসে পুজো উদ্ধোধন করবেন কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। প্রথম বছর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ২০২১ বিধানসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় পুজো আয়োজনের উদ্যোগে জল পড়ে যায় কার্যত। পরপর ৩ বছর পুজো করতেই হবে তাই ২০২১ ও ২০২২ সালে পুজো সীমিত পরিসরে হয়, এরপর দু’বছর বন্ধ থাকে।
সেই বছর ঠিক হয়েছিল বিজেপি নেতারা দিল্লি থেকে এসে পুজো উদ্ধোধন করবেন কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। প্রথম বছর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ২০২১ বিধানসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় পুজো আয়োজনের উদ্যোগে জল পড়ে যায় কার্যত। পরপর ৩ বছর পুজো করতেই হবে তাই ২০২১ ও ২০২২ সালে পুজো সীমিত পরিসরে হয়, এরপর দু’বছর বন্ধ থাকে।
advertisement
6/7
গত কয়েকবছরে ‘হিন্দুত্ব’ প্রচারে ব্যাপক ভাবে জোর দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদির দুর্গাপুরের সভায় ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ স্লোগান থেকে শুরু করে, শমীককে সভাপতি ঘোষণার দিনে কালীঘাটের বিগ্রহের ছবি—সবই সেই কৌশলের অংশ।
গত কয়েকবছরে ‘হিন্দুত্ব’ প্রচারে ব্যাপক ভাবে জোর দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদির দুর্গাপুরের সভায় ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ স্লোগান থেকে শুরু করে, শমীককে সভাপতি ঘোষণার দিনে কালীঘাটের বিগ্রহের ছবি—সবই সেই কৌশলের অংশ।
advertisement
7/7
আর এই মুহূর্তে যখন বাংলা বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু সেই মুহূর্তে আবার এই পুজো শুরু করে সাংগঠনিক বার্তা ছড়াতে চাইছে বিজেপি।
আর এই মুহূর্তে যখন বাংলা বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু সেই মুহূর্তে আবার এই পুজো শুরু করে সাংগঠনিক বার্তা ছড়াতে চাইছে বিজেপি।
advertisement
advertisement
advertisement