DA Case: ডিএ মামলায় কী এমন হল সুপ্রিম কোর্টে! 'খেলা' সেই ঘোরালেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল! আর কত অপেক্ষা?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:Maitreyee Bhattacharjee
Last Updated:
DA Case: গত সপ্তাহেও কপিল সিব্বল আদালতে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের অন্যতম আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন। সেই কারনেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হল। আগামী সোমবার বেলা ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চে শুনানি ছিল।
advertisement
advertisement
রাজ্যকে আগেই ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ জন্য ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারেনি। বরং আদালতের কাছ থেকে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট প্রতি দিনই শুনানি চলেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে।
advertisement
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে, এই দাবিকে সামনে রেখে শুরু হয় মামলা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি), কলকাতা হাই কোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। উচ্চ আদালত বলে, ডিএ রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকার। কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য।
advertisement
কিন্তু রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে, আরও সময় প্রয়োজন। আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত কোনও বরাদ্দ ছিল না। তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।
advertisement
রাজ্যের যুক্তি ছিল, মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। অন্য দিকে, মামলাকারী পক্ষের যুক্তি, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। তাদের দাবি, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া হোক। সেই মামলারই শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে অগাস্টে পর সেপ্টেম্বরের শুরুতেও হল না ডিএ মামলার শুনানি।