Yaas: ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি বেগে আসবে যশ ! প্রায় আমফানের মতোই ! জারি কড়া সর্তকতা
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
ধেয়ে আসছে যশ (Yaas)। সর্তকতা জারি করা হয়েছে আগে থেকেই। আজ ২২ তারিখ যশকে নিয়ে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি মিটিং রাখে।
ধেয়ে আসছে যশ (Yaas)। সর্তকতা জারি করা হয়েছে আগে থেকেই। আজ ২২ তারিখ যশকে নিয়ে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি মিটিং রাখে। সেখানে ক্যাবিনেটের সেক্রেটারি রাজীব গওবা গোটা বিষয় খতিয়ে দেখতে রাজ্য এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করেন। কিভাবে মোকাবিলা করা হবে এই সাইক্লোনের তা নিয়ে সর্তকবার্তা দেওয়া হয়। IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল জানান, সাইক্লোনের বর্তমান অবস্থান। জানানো হয়েছে ২৬ তারিখ সন্ধ্যে নাগাদ যশ আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়।
advertisement
জানানো হয়েছে এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি। সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত। উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। আজ সকালেই পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে৷ আগামিকালের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ এর পর উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে সেটি ২৪ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ এর পর থেকেই আরও উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ২৬ মে সকালে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছবে যশ৷ ২৬ তারিখ বিকেলেই পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপুকূল পেরিয়ে যাবে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়৷ আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ক্রমশ ওড়িশা উপকূল থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ সরে যাচ্ছে৷ ফলে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিঘা থেকে সুন্দরবনের মধ্যেই তা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি৷
advertisement
আজ এই মিটিংয়ে সব রাজ্য বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাকে সব রকমভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়। উদ্ধার কার্য চালানোর জন্য ৬৫ আর্মি দল ও ২০ অন্য দলকে ওই সময়ের জন্য রাখতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে এই সময়ে খাবার, জল, এবং প্রয়োজনীয় জিনিস যেনো মজুত রাখা হয় মানুষের জন্য। আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে করোনার কথা মাথায় রেখে। এই দুর্যোগে যেন কোনওভাবেই অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ না হয়। করোনা রোগীরা বিপদে না পড়েন সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তরা ভর্তি আছেন এমন হাসপাতাল ছাড়াও জরুরি ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে।
advertisement
advertisement
আজকের এই মিটিংয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান নিকোবর ও পুদুচেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা ছিলেন। এই সময় বিদ্যুৎ না থাকা, টেলিকম ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। রেল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই সময়টায়। যশের মোকাবিলার জন্য সবরকম ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে বেশি সতর্ক করা হয়েছে। গত বছর এই সময় নাগাদ আমফান এসে প্রবল ক্ষতি করেছিল মানুষের। আমফানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ থেকে ২০০ কিমি। সেই দিক থেকে যশ যদি ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে আসে, তবে বড়সড় ঝড় হতে চলেছে। আমফানের কাছাকাছি যাবে যশ। তাই আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।









