ভুটানের উপর আমেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কেন? তালিকায় ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশও, রইল বিস্তারিত
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Why Is Bhutan On US Travel Ban List: নিউইয়র্ক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৩টি দেশের নাগরিকদের উপর আমেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
advertisement
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার পরই একজিকিউটিভ অর্ডার জারি করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে বিদেশ দফতরকে এমন দেশের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাঁদের নাগরিকদের যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা দুর্বল, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আংশিক বা পুরো নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। সেই অনুযায়ী, ‘লাল’, ‘কমলা’ এবং ‘হলুদ’, এই তিন ক্যাটেগরির তালিকা প্রস্তুত করে বিদেশ মন্ত্রক। তালিকায় ভুটান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান-সহ ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে।
advertisement
লাল তালিকা: আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ‘লাল’ তালিকায় রাখা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তানের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালিবানদের দখলে চলে যায় আফগানিস্তান। তাই এবার এই দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
advertisement
কমলা: এই তালিকায় ১০টি দেশ রয়েছে। বেলারুশ, এরিট্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান এবং তুর্কমেনিস্তান। এই দেশগুলির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। তবে কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। ধনী ব্যবসায়ীদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে অভিভাসন ভিসায় কেউ ঢুকতে পারবে না। নাগরিকদের ভিসা পেতে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
advertisement
advertisement
ভুটান কেন ‘লাল’ তালিকাভুক্ত: বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ভুটান। কিন্তু ‘জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ’ ও ‘অনিয়মিত অভিবাসন প্রবণতা’-এর কারণে ভুটানকে ‘লাল’ তালিকায় রেখেছে ট্রাম্প সরকার। সরকারি সূত্রের দাবি, অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি দিন আমেরিকায় থাকার প্রবণতা রয়েছে ভুটানিদের। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে সে দেশে প্রবেশের চেষ্টাও করে তারা। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে ভুটানি নাগরিকদের ভিসা লঙ্ঘনের হার ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহ্ণের অন্যতম কারণ।