Vladimir Putin: 'রাশিয়া প্রস্তুত...' ইরানের উপর আমেরিকার আক্রমণ নামতেই বিস্ফোরক পুতিন! কিন্তু কেন রাশিয়া সরাসরি ইরানের পাশে নয়, বেরিয়ে এল আসল কারণ!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Vladimir Putin: ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শেষমেশ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের ৩ পরমাণু কেন্দ্রে জোরদার হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ইরানের, এসফাহান, ফরডো, নাতানজের পরমাণু কেন্দ্রে বিধ্বংসী হানা চালিয়েছে মার্কিন সেনার বিমান। এদিকে, ঘটনার পরই ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ হুসেন শারিয়াতমাদরি পাল্টা তোপ দেগেছেন আমেরিকাকে লক্ষ্য করে।
advertisement
advertisement
advertisement
প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার স্কাই নিউজ আরবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) কখনই এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য কাজ করছে। আমরা এই বিষয়টি বহুবার ইজরায়েলি নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’
advertisement
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালানোর অধিকার ইরানের রয়েছে। শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে এক অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন জানান, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত বন্ধে রাশিয়া উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং কিছু প্রস্তাব দিচ্ছে—তবে তা নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
advertisement
ইরান একের পর এক আঘাত সহ্য করছে। কিন্তু তার সবচেয়ে শক্তিশালী বন্ধু রাশিয়া তেমন কিছুই করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। অল্প কিছুদিন আগেও মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা দুনিয়ার সবচেয়ে অপছন্দের শক্তি ইরানকে সমর্থন করা রাশিয়ার জন্য লাভজনক ছিল। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের সঙ্গে সংঘাতকেই তাঁর পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি বানিয়েছেন। সেই পটভূমিতে ইরান ও এর অংশীদারদের দিকে ঝুঁকে রাশিয়ার লাভ হয়েছিল।
advertisement
তখন ইরান রাশিয়াকে শাহেদ ড্রোন সরবরাহ করেছিল। এই ড্রোন তখন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধক্ষমতার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। তারপর গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েল আক্রমণ করে। এর জবাবে ইজরায়েল গাজার ওপর নির্মম আক্রমণ শুরু করে। সেই সময় ফিলিস্তিনপন্থী ও পশ্চিমবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া বিশ্বজনমতকে নিজেদের দিকে টানতে পেরেছিল।
advertisement
advertisement
রাশিয়া যে তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের পক্ষে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। আসাদ ছিলেন রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র। ইরান ও রাশিয়া তখনও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বা স্যাটেলাইট উন্নয়নের মতো কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছিল।
advertisement
advertisement
আসলে রাশিয়া ইরানকে কতটা সমর্থন করবে, তা আগেই ঠিক করে রেখেছিল। পুতিনের পশ্চিমবিরোধী মনোভাব ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র করেছে। কিন্তু পুতিনের আরও কিছু স্বার্থ আছে। যেমন ইজরায়েলের সঙ্গে পুরোনো এবং জটিল সম্পর্ক। আবার তেলের দামের ক্ষেত্রে ওপেকের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন। তাই ইরানকে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে ইজরায়েল ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্কের সীমারেখা পেরিয়ে যেতে চায়নি রাশিয়া। তা ছাড়া রাশিয়া ইরানের জন্য নিজেকে সামরিক জটিলতায় ফেলতে রাজি নয়। বিশেষ করে যখন সে ইউক্রেন যুদ্ধেই পুরোপুরি ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ভূমিকা ক্রমেই ধন্দে ফেলছে ইরানকে।