Science: সর্বনাশ! পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ! চাঞ্চল্যকর তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে! এর ফলে কী হবে জানেন? শুনে চিন্তায় পড়ে যাবেন

Last Updated:
Science: মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবি জানান, “জোয়ার-ভাটার শক্তি ও কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষণের কারণে চাঁদ ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।”
1/8
প্রতি বছর ৪ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে পৃথিবীতে? প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৪ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। আপাতদৃষ্টিতে ধীর এই প্রক্রিয়া কোটি কোটি বছরের হিসেবে পৃথিবীর পরিবেশ ও জীবজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রতি বছর ৪ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে পৃথিবীতে? প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৪ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। আপাতদৃষ্টিতে ধীর এই প্রক্রিয়া কোটি কোটি বছরের হিসেবে পৃথিবীর পরিবেশ ও জীবজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
2/8
মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবি জানান, “জোয়ার-ভাটার শক্তি ও কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষণের কারণে চাঁদ ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।”
মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবি জানান, “জোয়ার-ভাটার শক্তি ও কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষণের কারণে চাঁদ ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।”
advertisement
3/8
চাঁদের মহাকর্ষে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই জোয়ারের স্ফীতি পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিকে চাঁদের কক্ষপথের তুলনায় সামান্য এগিয়ে রাখে। এর ফলে পৃথিবী আসলে চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। এতে চাঁদ অতিরিক্ত শক্তি অর্জন করে এবং ধীরে ধীরে কক্ষপথ প্রসারিত করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।
চাঁদের মহাকর্ষে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই জোয়ারের স্ফীতি পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিকে চাঁদের কক্ষপথের তুলনায় সামান্য এগিয়ে রাখে। এর ফলে পৃথিবী আসলে চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। এতে চাঁদ অতিরিক্ত শক্তি অর্জন করে এবং ধীরে ধীরে কক্ষপথ প্রসারিত করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।
advertisement
4/8
বদলে, চাঁদও পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২.৩ মিলিসেকেন্ড করে বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিন আরও দীর্ঘ হবে।
বদলে, চাঁদও পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২.৩ মিলিসেকেন্ড করে বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দিন আরও দীর্ঘ হবে।
advertisement
5/8
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনের নভোচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে বিশেষ প্রতিফলক স্থাপন করেছিলেন। সেই প্রতিফলক ব্যবহার করে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে চাঁদের দূরত্ব নিয়মিতভাবে মাপা হয়। এর মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে চাঁদ প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার হারে দূরে সরে যাচ্ছে।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনের নভোচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে বিশেষ প্রতিফলক স্থাপন করেছিলেন। সেই প্রতিফলক ব্যবহার করে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে চাঁদের দূরত্ব নিয়মিতভাবে মাপা হয়। এর মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে চাঁদ প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার হারে দূরে সরে যাচ্ছে।
advertisement
6/8
গবেষকদের মতে, এই ধীর প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিক কোনও বিপদের কারণ নয়। তবে কোটি কোটি বছর পরে পৃথিবীর দিন আরও দীর্ঘ হবে এবং সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা দুর্বল হয়ে আসবে। এতে জীববৈচিত্র্যের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
গবেষকদের মতে, এই ধীর প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিক কোনও বিপদের কারণ নয়। তবে কোটি কোটি বছর পরে পৃথিবীর দিন আরও দীর্ঘ হবে এবং সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা দুর্বল হয়ে আসবে। এতে জীববৈচিত্র্যের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
advertisement
7/8
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গ্রহবিজ্ঞানী ডেভিড স্টিভেনসন বলেন, “চাঁদের এই সরে যাওয়া আমাদের সৌরজগতের ইতিহাস ও পৃথিবী-চাঁদের সম্পর্ক বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে দিনের দৈর্ঘ্য কম ছিল, ভবিষ্যতে তা আরও দীর্ঘ হবে।”
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গ্রহবিজ্ঞানী ডেভিড স্টিভেনসন বলেন, “চাঁদের এই সরে যাওয়া আমাদের সৌরজগতের ইতিহাস ও পৃথিবী-চাঁদের সম্পর্ক বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে দিনের দৈর্ঘ্য কম ছিল, ভবিষ্যতে তা আরও দীর্ঘ হবে।”
advertisement
8/8
পৃথিবী ও চাঁদের সম্পর্ক এক সূক্ষ্ম ভারসাম্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। পরিবর্তন এতটাই ধীর যে বর্তমান মানবজীবনে এর কোনও প্রভাব নেই। তবে মহাকালের হিসেবে এ এক বিশাল ঘটনা, যা ভবিষ্যতের পৃথিবীর রূপকেই বদলে দিতে পারে।
পৃথিবী ও চাঁদের সম্পর্ক এক সূক্ষ্ম ভারসাম্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। পরিবর্তন এতটাই ধীর যে বর্তমান মানবজীবনে এর কোনও প্রভাব নেই। তবে মহাকালের হিসেবে এ এক বিশাল ঘটনা, যা ভবিষ্যতের পৃথিবীর রূপকেই বদলে দিতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement