Israel-Palestine conflict: দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ; রইল এর উৎপত্তি এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

Last Updated:
History of Israel-Palestine conflict: পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘকালীন যুদ্ধের দামামার আশঙ্কা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন লড়াই নতুন কোনও বিষয় নয়। এটা কয়েক দশক ধরে চলে আসছে।
1/8
আগে থেকে কোনও রকম আভাস না দিয়ে আচমকাই ইজরায়েলের উপর নেমে এসেছে হামাসের আঘাত। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলও। যার জেরে পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘকালীন যুদ্ধের দামামার আশঙ্কা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন লড়াই নতুন কোনও বিষয় নয়। এটা কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। পুরনো এই লড়াইয়ের ইতিহাস এবং উৎপত্তির দিকে একবার আলোকপাত করা যাক।(AP Photo/Fatima Shbair)
আগে থেকে কোনও রকম আভাস না দিয়ে আচমকাই ইজরায়েলের উপর নেমে এসেছে হামাসের আঘাত। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলও। যার জেরে পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘকালীন যুদ্ধের দামামার আশঙ্কা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন লড়াই নতুন কোনও বিষয় নয়। এটা কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। পুরনো এই লড়াইয়ের ইতিহাস এবং উৎপত্তির দিকে একবার আলোকপাত করা যাক।(AP Photo/Fatima Shbair)
advertisement
2/8
শনিবার গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর আকস্মিক ভাবে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে হামাস। আর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এটাই ছিল সবথেকে বড় হামলা। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন শয়ে শয়ে ইজরায়েলি নাগরিক। জখম হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজাতেও মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের ৷ রাস্তাঘাটে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। শুধু তা-ই নয়, গাজার দিকেও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১৩ জন এবং জখম হয়েছেন ১৭০০ জনেরও বেশি। (AP Photo/Fatima Shbair)
শনিবার গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর আকস্মিক ভাবে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে হামাস। আর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এটাই ছিল সবথেকে বড় হামলা। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন শয়ে শয়ে ইজরায়েলি নাগরিক। জখম হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজাতেও মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের ৷ রাস্তাঘাটে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। শুধু তা-ই নয়, গাজার দিকেও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১৩ জন এবং জখম হয়েছেন ১৭০০ জনেরও বেশি। (AP Photo/Fatima Shbair)
advertisement
3/8
 গাজা স্ট্রিপে প্রচুর সংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এবং সেনাকে পণবন্দিও বানিয়েছে হামাস। এমনটাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, হামাস হল হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া-র সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি আসলে একটি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্ট মুভমেন্ট। যা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে প্যালেস্তাইনের অভ্যুত্থানের সময়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বসবাসকারী প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ আন্দোলনের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পরে ২০০৭ সাল থেকে গাজা স্ট্রিপ থেকেই হামাস গোষ্ঠী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। (AP Photo/Hatem Moussa)
গাজা স্ট্রিপে প্রচুর সংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এবং সেনাকে পণবন্দিও বানিয়েছে হামাস। এমনটাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, হামাস হল হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া-র সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি আসলে একটি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্ট মুভমেন্ট। যা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে প্যালেস্তাইনের অভ্যুত্থানের সময়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বসবাসকারী প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ আন্দোলনের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পরে ২০০৭ সাল থেকে গাজা স্ট্রিপ থেকেই হামাস গোষ্ঠী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। (AP Photo/Hatem Moussa)
advertisement
4/8
 ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যে অশান্তি শতাব্দী প্রাচীনই বলা চলে। যা শুরু হয়েছিল ১৯২০ সালে। আসলে সেই সময়ই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ার পরে প্যালেস্তাইনের দখল নিয়েছিল ব্রিটেন। এরপর ১৯২০ থেকে ১৯৪০-এর মধ্যবর্তী সময়ে এই দুই দেশের মধ্যে অশান্তি বাড়তে থাকে। কারণ ওই সময় প্যালেস্তাইনি আরবরা ওই অঞ্চলে ইহুদিদের এসে থাকার বিষয়টার বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসকরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কারণ তারা সেই সংঘাত তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলই না, সেই সঙ্গে ইজরায়েলের তখন বিপর্যস্ত দশা। তার জেরে বাধ্য হয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন প্যালেস্তাইনিরা। (AP Photo/Hatem Moussa)
ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যে অশান্তি শতাব্দী প্রাচীনই বলা চলে। যা শুরু হয়েছিল ১৯২০ সালে। আসলে সেই সময়ই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ার পরে প্যালেস্তাইনের দখল নিয়েছিল ব্রিটেন। এরপর ১৯২০ থেকে ১৯৪০-এর মধ্যবর্তী সময়ে এই দুই দেশের মধ্যে অশান্তি বাড়তে থাকে। কারণ ওই সময় প্যালেস্তাইনি আরবরা ওই অঞ্চলে ইহুদিদের এসে থাকার বিষয়টার বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসকরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কারণ তারা সেই সংঘাত তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলই না, সেই সঙ্গে ইজরায়েলের তখন বিপর্যস্ত দশা। তার জেরে বাধ্য হয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন প্যালেস্তাইনিরা। (AP Photo/Hatem Moussa)
advertisement
5/8
এদিকে আবার চারশোরও বেশি প্যালেস্তাইনি গ্রামবাসীকে তুলে নিয়েছিল ইজরায়েলি বাহিনী। তারা গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং আশপাশের আরব দেশগুলিতে পালিয়ে যায়। এরপর ১৯৬৪ সালে প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও তৈরি হয়। এদিকে আবার ১৯৬৭ সালে ছয় দিন ব্যাপী যুদ্ধে মিশর, জর্ডন এবং সিরিয়াকে পরাস্ত করেছিল ইজরায়েল। সেই সঙ্গে জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে তারা। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে মিশর এবং সিরিয়া আবার ইজরায়েলের উপর হামলা চালায়। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। যার জেরে মিশর এবং সিরিয়া হেরে গিয়েছিল। (Photo Courtesy: AP)
এদিকে আবার চারশোরও বেশি প্যালেস্তাইনি গ্রামবাসীকে তুলে নিয়েছিল ইজরায়েলি বাহিনী। তারা গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং আশপাশের আরব দেশগুলিতে পালিয়ে যায়। এরপর ১৯৬৪ সালে প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও তৈরি হয়। এদিকে আবার ১৯৬৭ সালে ছয় দিন ব্যাপী যুদ্ধে মিশর, জর্ডন এবং সিরিয়াকে পরাস্ত করেছিল ইজরায়েল। সেই সঙ্গে জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে তারা। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে মিশর এবং সিরিয়া আবার ইজরায়েলের উপর হামলা চালায়। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। যার জেরে মিশর এবং সিরিয়া হেরে গিয়েছিল। (Photo Courtesy: AP)
advertisement
6/8
এরপরেই একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু ইজরায়েল আক্রমণ চালায় লেবাননে। যার জেরে প্রায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলি বসতি স্থাপন এবং জেরুজালেমের পরিস্থিতির মতো গুরুতর সমস্যাগুলি অমীমাংসিতই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে গাজায় প্রথম বারের জন্য স্ব-শাসন জারি করে পিএলও। আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এরিয়েল শ্যারন। এরপরেই দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা হয়। এই হিংসা এবং অশান্তির রেশ ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ কমে। আর তার সঙ্গে কমতে থাকে হতাহতের সংখ্যাও।(AP Photo/Hatem Moussa)
এরপরেই একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু ইজরায়েল আক্রমণ চালায় লেবাননে। যার জেরে প্রায় শতাধিক প্যালেস্তাইনি প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলি বসতি স্থাপন এবং জেরুজালেমের পরিস্থিতির মতো গুরুতর সমস্যাগুলি অমীমাংসিতই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে গাজায় প্রথম বারের জন্য স্ব-শাসন জারি করে পিএলও। আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এরিয়েল শ্যারন। এরপরেই দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা হয়। এই হিংসা এবং অশান্তির রেশ ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ কমে। আর তার সঙ্গে কমতে থাকে হতাহতের সংখ্যাও।(AP Photo/Hatem Moussa)
advertisement
7/8
এরপর ২০১৮ সালে ফের অশান্তি আর হিংসা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সাত সপ্তাহব্যাপী এই সংঘর্ষে গাজায় প্রায় ২ হাজারেরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। পরে অবশ্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এরপর ধারাবাহিক ভাবে গাজায় বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। (AP Photo/Hatem Moussa)
এরপর ২০১৮ সালে ফের অশান্তি আর হিংসা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সাত সপ্তাহব্যাপী এই সংঘর্ষে গাজায় প্রায় ২ হাজারেরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। পরে অবশ্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এরপর ধারাবাহিক ভাবে গাজায় বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। (AP Photo/Hatem Moussa)
advertisement
8/8
অতীতের কয়েক বছর ধরে আল-আকসা মসজিদে বিক্ষোভকারী এবং জঙ্গিদের মধ্যে ক্রমাগত ভাবে সংঘর্ষ চলতে থাকে। যার ফলে ধারাবাহিক ভাবে বারবার ভয়ঙ্কর প্যালেস্তাইনি হামলা হয়েছে। আবার ২০২৩ সালের মে মাসে গাজা স্ট্রিপের উপর আকস্মিক ভাবে হামলা চালায় ইজরায়েল। মূলত ওই হামলার নিশানায় ছিলেন ইসলামিক জিহাদের নেতারা। ইজরায়েলের অভিযানের পর এই হামলা চালানো হয়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে একটি ইজরায়েলি বসতিতে গুলি চালানো হয়। অবশেষে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ইজরায়েল একটি ‘স্টেট অফ ওয়ার’ ঘোষণা করে। Photo Courtesy: AP
অতীতের কয়েক বছর ধরে আল-আকসা মসজিদে বিক্ষোভকারী এবং জঙ্গিদের মধ্যে ক্রমাগত ভাবে সংঘর্ষ চলতে থাকে। যার ফলে ধারাবাহিক ভাবে বারবার ভয়ঙ্কর প্যালেস্তাইনি হামলা হয়েছে। আবার ২০২৩ সালের মে মাসে গাজা স্ট্রিপের উপর আকস্মিক ভাবে হামলা চালায় ইজরায়েল। মূলত ওই হামলার নিশানায় ছিলেন ইসলামিক জিহাদের নেতারা। ইজরায়েলের অভিযানের পর এই হামলা চালানো হয়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে একটি ইজরায়েলি বসতিতে গুলি চালানো হয়। অবশেষে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ইজরায়েল একটি ‘স্টেট অফ ওয়ার’ ঘোষণা করে। Photo Courtesy: AP
advertisement
advertisement
advertisement