America on Iran Israel War: সর্বনাশ! সিচুয়েশন রুমে ডোনাল্ড ট্রাম্প! এর অর্থ কী জানেন? ইংল্যান্ড থেকে কী যাচ্ছে ইরানের দিকে? আমেরিকা তবে নেমেই গেল যুদ্ধে?

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে ‘সিচুয়েশন রুমে’ বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার মন্তব্যে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

‘সিচুয়েশন রুমে’ বৈঠকটি এমন সময় হচ্ছে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভাবছেন ইজরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতে আমেরিকার আরও সম্পৃক্ত হওয়া উচিত কি না।

কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) শীর্ষ সম্মেলন থেকে একদিন আগেই ওয়াশিংটনে ফিরে এসেছেন তিনি। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটার সিএনএন’কে জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সংঘাতে আমেরিকারকে ‘শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান’ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ইজরায়েল।

বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই সূত্র সিএনএনকে জানায়, গত কয়েক দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ৩০টির বেশি বায়ুবাহিত জ্বালানি ট্যাঙ্কার (এয়ারিয়াল রিফুয়েলিং ট্যাংকার) পাঠিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, যদি ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন বিমান বাহিনীকে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলোকে ইরানের ওপর আক্রমণের সময় জ্বালানি সরবরাহে সহায়তা করতে, তখন সেই প্রস্তুতি নেওয়া।

এদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এর মধ্যে রয়েছে এফ-১৬, এফ-১২ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও অন্যান্য যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে ওয়াশিংটন, যা এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করবে।

দুই কর্মকর্তা যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির উপর জোর দিয়েছেন, যা ড্রোন ও প্রজেক্টাইল গুলি করতে ব্যবহৃত হয়।

ইরান আর ইজরায়েলের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার ভোররাতে পূর্ব ইংল্যান্ডের রয়্যাল এয়ারফোর্স লেকেনহিথ থেকে অন্তত চারটি এফ ৩৫ বিমান ঘাঁটি ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ইরানের রাজধানীর কাছে খোজির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইজরায়েল তাদের সবশেষ হামলা চালিয়েছে। ইরানিয়ান গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত অবকাঠামোর জন্য এই স্থাপনাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। গত অক্টোবরেই ইরানে হামলার সময় এটি টার্গেট করেছিল ইজরায়েল।