

ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে এবার নিজেদের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে সুপার ড্যাম বা বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল চিন৷ ইতিমধ্যেই যার প্রাথমিক কাজকর্ম শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে খবর৷ স্বশাসিত তিব্বত থেকে উৎপত্তি হওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ অরুণাচল প্রদেশ, অসম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷Photo-File


তিব্বতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছেই ইয়ারলুং জাংবো নদীর উপরে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চিন৷ এর ফলে উত্তর পূর্ব ভারতের জল নিরাপত্তার উপরে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইয়ারলুং জাংবো নদী অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার পর তার নাম হয় সিয়াং৷ আর অসমে সেটাই ব্রহ্মপুত্র নদ৷ Photo-Getty Images


স্বশাসিত তিব্বতের মেডগ কাউন্টির কাছেই এই বাঁধ তৈরির কথা জানানো হয়েছে চিনের সংবাদমাধ্যমে৷ এই এলাকা থেকে অরুণাচল প্রদেশের দূরত্ব খুব বেশি নয়৷ প্রস্তাবিত এই বাঁধকে কেন্দ্র করেই নিজেদের সবথেকে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে চিন৷ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে চিনেই৷ ইয়ারলুং জাংবো নদীর উপরে এই সুপার ড্যামের ক্ষমতা তার তিন গুন হতে চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে৷Photo-Reuters


২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃস্বরণ শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চিন৷ নতুন এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তাদের সেই লক্ষ্যপূরণে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করা হচ্ছে৷Photo-File


দুই দেশের মধ্যে বয়ে চলা নদীগুলি নিয়ে ভারত এবং চিনের মধ্যে একাধিক চুক্তি রয়েছে৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী নদীগুলির জলস্তর সব বিভিন্ন তথ্য ভারতকে জানানোর কথা বেজিং-এর৷ ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর নিয়েও বন্যার মরশুমে ১৫ মে থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কথা চিনের৷ উত্তর ভারতের বেশ কিছু নদীর ক্ষেত্রেও এই ধরনের তথ্য ভারতকে জানায় চিন৷Photo-File


ইন্দাস, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, ইরাবতি, সালফউইন, ইয়াংগটজে এবং মেকং- তিব্বতে উৎস থাকা এরকম সাতটি নদীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের হাতে৷ কারণ এই নদীগুলির উৎপত্তি তিব্বতের একই জায়গা থেকে হয়েছে৷ এই নদীগুলি নীচের দিকে নেমে এসে ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, লাওস, ভিয়েতনামের মতো বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করেছে৷ সবমিলিয়ে এই নদীগুিলর ৪৮ শতাংশ জলই ভারতে প্রবেশ করে৷ লোউয়ি ইনস্টিটিউট-এর একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে৷Photo-Reuters