ফেসবুকে এদিন বাবার সঙ্গে নানা সময়ের সাদা-কালো থেকে রঙিন মুহূর্তের টুকরো স্মৃতি শেয়ার করেছেন পৌলমী। বাবার সঙ্গে কাটানো নানা উজ্জ্বল স্মৃতিকে মনে করে আবেগঘন পৌলমী লিখেছেন, 'প্রত্যেক দিনই তোমার বাপি'। অর্থাৎ, আলাদা করে বিশ্ব পিতৃ দিবসে নয়, পৌলমী বসুর জীবনজুড়ে প্রতিটি মুহূর্তেই রয়েছেন বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
বাবা যে তাঁর জীবনের সর্বোত্তম শক্তি, সে কথা বরাবরই বলেছেন পৌলমী। হঠাৎ সেই মানুষটার চলে যাওয়ায় তিনি এখনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। সৌমিত্রের প্রয়াণের পর পরই পৌলমী বলেছিলেন, 'সব সময়ই ভেবে এসেছি বাবা মাথার উপর রয়েছেন। এখনও মনে হচ্ছে এই বোধহয় সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসবেন। ঘুম থেকে উঠে মনে হচ্ছে, এ বার বাপি এসে এখানে বসবেন, আমরা ব্রেকফাস্ট করব একসঙ্গে। যেটা রোজ হত। দুপুরে মনে হচ্ছে, এ বার বাপিকে ডাকি লাঞ্চ করতে। আমি ঠিক বলে বোঝাতে পারব না এই অনুভূতি কী রকম।'
সৌমিত্রের মৃত্যুর পরই পৌলমী বসু জানিয়েছিলেন, সৌমিত্র-স্মৃতিভাঁড়ার বা আর্কাইভ সাজিয়ে তুলতে চান তিনি। সৌমিত্রের দীর্ঘ রোগভোগ পর্বেই এই সঙ্কল্পে স্থিত হয়েছিলেন তিনি। সৌমিত্রের লেখা, আঁকা, নানা সময়ের ডায়েরি, সিনেমার চিত্রনাট্যের কপিতে নিজের জন্য নেওয়া 'নোট'-- সব কিছুতেই থাকতে পারে ইতিহাসের উপাদান। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যে মূর্তিমান ইতিহাসের একটি অধ্যায়, সেটা বুঝেই সুবিন্যস্ত আর্কাইভের দরকার বলে পৌলমীর অভিমত।