৫৪টা দৃশ্য বদল ! তার পরে মিলল সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র, কী এমন আছে ‘দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবিতে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
The Academy Of Fine Arts: এত বদলের পরেও অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট সাম্প্রতিক কালে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। কী বলছেন নবীন পরিচালক জয়ব্রত দাশ?
সেন্সর বোর্ড নানা কারণেই কোনও চলচ্চিত্র মুক্তিতে বাধা দিতে পারে। অতীব স্পর্শকাতর কোনও বিষয় যদি সমাজকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয়, তাহলেই কেবল সেন্সর বোর্ড পরিচালক-প্রযোজককে ছবির ওই জায়গা বদলাতে বা বাদ দিতে বলে। সেটা হয়েছে পরিচালক জয়ব্রত দাশের ছবি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস নিয়েও। একটা নয়, দুটো নয়, গুনে গুনে ৫৪টা জায়গা বদল করতে হয়েছে!
advertisement
আর এই সেন্সর বোর্ডে এবং অ্যানিম্যাল পারমিশনে দেরি হওয়ার জন্য পিছিয়েছে ছবি মুক্তি। গত জুলাই মাসে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ছবির। অবশেষে ৫৪টা বদলের পর অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেটের সঙ্গে ছবি মুক্তি পাচ্ছে ১৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে। এত বদলের পরেও অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট সাম্প্রতিক কালে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। কী বলছেন নবীন পরিচালক জয়ব্রত দাশ? অবিশ্বাস্য ভাবে পরিচালকের সুর উল্টো ।
advertisement
তিনি জানান , মাত্র ৫৪টা পরিবর্তনে ছবি নিয়ে কোনও সমস্যাই হবে না । তিনি আরও অনেক বেশি কাটস্ আর চেঞ্জেস-এর জন্যে প্রস্তুত ছিলেন। তাঁর হিসেবে সেন্সর বোর্ড যা যা সাজেস্ট করেছে, সব কটাই জাস্টিফায়েড। কিন্তু হঠাৎ চিলড্রেনস ডে-তে অ্যাডাল্ট ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত কেন ? ছবির সহ-প্রযোজক সৌম্য সরকার এবং সঙ্কেত মিশ্র জানান, প্রতিবছরই শিশু দিবসে বাচ্চাদের জন্য ছবি মুক্তি পায়, এই বছর না হয় বড় হয়ে যাওয়া বাচ্চাদের জন্য একটা ছবি মুক্তি পাক!
advertisement
ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে নিজস্ব পুঁজি দিয়ে চার বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছেন জয়ব্রত। বহুবার বন্ধ হয়ে গেছে ছবির কাজ, আবার ফান্ড জোগাড় করে শুরু হয়েছে। মুখ্য ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস, পায়েল সরকার, ঋষভ বসু, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অমিত সাহা, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, রানা বসু ঠাকুর, অঞ্জন রায় চৌধুরী প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
advertisement
একটি অত্যন্ত দামি অ্যান্টিক মদের বোতল আর কয়েকজন ক্রিমিনাল এই ছবির মূল বিষয়। সবাই মিলে প্ল্যান করে এই দুর্লভ বোতল চুরি করার। সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে নেমেই ঘটতে থাকে একের পর এক রোমহর্ষক ঘটনা। ছলে, বলে দখল ও বেদখল, বিশ্বাস ও বিশ্বাসঘাতকতার প্রেক্ষিতে সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়। পরতে পরতে উত্তেজনার পারদ বাড়ে নায়িকাদের উষ্ণ পরকীয়া, প্রতারণার রোমাঞ্চকর রসায়নেও।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement