বেশ্যাবৃত্তি করে টাকা উপার্জন করেছি! আদালতে দাঁড়িয়ে বোমা বলিউডের সুন্দরী নায়িকার, তোলপাড়

#মুম্বই:  'আপকি নজরো নে সামঝা... পেয়ার কে কাবিল মুঝে' এবং 'ধীরে ধীরে চাল চাঁদ গগন মে' গানে তার মোহনীয় হাসি দিয়ে মানুষকে পাগল করে তোলেন, ৪০ বছর ধরে বলিউড শাসন করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন সুন্দরী এই বলি অভিনেত্রী৷ তাঁর রূপে এক সময়ে মজেছিল আসমুদ্র হিমাচল৷

উল্লেখ্য ৬০ থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের তালিকাতে তাঁর নামও ছিল। তাঁর অভিনয় দেখে দর্শক মুগ্ধ হতেন। তাঁর সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে সবাই ডুবে যেত৷

এদিকে তাঁকে তার বাস্তব জীবনে বলিউডের সবচেয়ে কৃপণ  অভিনেত্রী হিসাবে বিবেচনা করা হত।বলিউড গসিপে তাঁকে নিয়ে প্কচুর কথা হত৷ তাঁর কৃপণতা এতটাই ছিল যে যা খুশি বলতেও তিনি পিছপা হতেন না৷  তাঁর বাড়িতে  আয়কর দফতর অভিযান চালিয়েছিল। এই সময় মালা তার টাকা বাঁচাতে মিডিয়া এবং আদালতের সামনে এমন কিছু বলেছিলেন, যা শুনে সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷

আসলে, এই কথা ১৯৭৮ সালের। মালা সিনহা যখন সাফল্যের শীর্ষে। এই সময়ে তাঁর জীবনে এমন একটি সময় এসেছিল যা তাঁর সুখ-শান্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আয়কর দফতর তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল৷ সংবাদ মাধ্যমের পুরনো রিপোর্ট অনুযায়ী , ১৯৭৮ সালে, মুম্বইতে মালা সিনহার বাড়িতে আয়কর অভিযান হয়েছিল। অভিযানে তার বাথরুম থেকে ১২ লক্ষ টাকার বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। তখনকার দিনে ১২ লক্ষ টাকা ছিল বিশাল অঙ্কের।

পতিতাবৃত্তি থেকে অর্থ উপার্জন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষয়টি এতটাই বড় ছিল যে তা আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মালা সিনহা আতঙ্কিত হয়েছিলেন যে তাঁর উপার্জন বাজেয়াপ্ত হতে পারে। তাই আইনজীবী ও তাঁর বাবা অ্যালবার্ট সিনহার নির্দেশে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেন যে তিনি বেশ্যাবৃত্তি থেকে এই অর্থ উপার্জন করেছেন।

মালার বক্তব্য সামনে আসার পর সবাই হতবাক। লোকেরা তাকে খুব খারাপ বলতে শুরু করে। এ কারণে তার ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে। পরে মালা সিনহা নিজেও বেশ ভেঙে পড়ে।