Filmy Gossip: সুপারস্টার বর, বিয়ের পরই সিনেমাকে বিদায় জনপ্রিয় নায়িকার! শুধুই ভালবাসার মূল্য চোকাতে এত বড় সিদ্ধান্ত নাকি স্বামীর ব্ল্যাকমেলের শিকার? পর্দাফাঁস

একসময় 'বাস্তব', 'পুকার' এবং 'ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস'-এর মতো ছবি দিয়ে রূপালি পর্দায় নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেন নায়িকা। কিন্তু যখন তাঁর ক্যারিয়ার তুঙ্গে, তখন তিনি বিয়ে করেন এবং তারপর সিনেমার থেকে দূরে সরে যান।

১৯৯৩ সালে ২১ বছর বয়সে 'মিস ইন্ডিয়া' খেতাব জয়ের পর তারকা নায়িকা হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তাঁর সব কিছুই ছিল। কিন্তু তারকাখ্যাতি থেকে দূরে থেকে তিনি পারিবারিক জীবনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। 

এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আসল কারণ কী ছিল? শুধুই কী ভালবাসা? ব্যক্তিগত মূল্যবোধ? নাকি স্বামীর চাপ? দেখা যাক আসল সত্য কী।

ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালীন... নম্রতা সিরোদকর তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং মনোমুগ্ধকর পর্দা উপস্থিতি দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তিনি সঞ্জয় দত্ত এবং অনিল কাপুরের মতো বড় নায়কদের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন। তাছাড়া, তিনি ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে 'ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস' নামক বিদেশি সিনেমায় কাজ করে নিয়েছেন। তবে, ইন্ডাস্ট্রির অনেকের বিপরীতে, নম্রতা নিজের জন্য কিছু স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করেছেন।

একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে, তিনি নিজেই বলেছিলেন যে তিনি অনেক সাহসী বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। "আমি পর্দায় চুম্বন করি না, আমি এমন দৃশ্য করি না। আমার এর প্রয়োজন নেই। আমি একটি ভাল পরিবার থেকে এসেছি," তিনি খোলাখুলিভাবে বলেছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় যে তাঁর কাছে তারকা হওয়ার চেয়ে আত্মসম্মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

মহেশ বাবুর সঙ্গে প্রেম: ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'ভামসি' সিনেমাটি নম্রতার জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় তিনি সুপারস্টার মহেশ বাবুর প্রেমে পড়েন। পাঁচ বছর ধরে গোপনে প্রেম করা এই দম্পতি ২০০৫ সালে বিয়ে করেন। তারপর থেকে নম্রতা চলচ্চিত্রে সম্পূর্ণ বিরতি দেন। তবে, তিনি খোলাখুলিভাবে বলেছিলেন যে মহেশ তার অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার পিছনে একটি শর্ত রেখেছিলেন।

"মহেশ খুব স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি একজন কর্মরতা ​​স্ত্রী পছন্দ করেন না। আমি যদি কর্পোরেট চাকরি করতাম, তাহলে তিনি আমাকে ছেড়ে দিতে বলতেন। আমাদের মধ্যে বন্ধন খুবই বিশেষ," নম্রতা খোলাখুলিভাবে শেয়ার করেছিলেন।

এটা কি ত্যাগ? নাকি এটা তার পছন্দ? অনেকেই মনে করেন যে নম্রতা মহেশ বাবুর জন্য তার ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছিলেন।

কিন্তু আসলে, এই সিদ্ধান্তের পিছনে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ রয়েছে। বিয়ের অনেক আগে থেকেই, তিনি এমন ভূমিকা এবং বিব্রতকর দৃশ্য প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যা তিনি পছন্দ করতেন না।

তাই, এটা সত্য যে মহেশের কথার পাশাপাশি, তার নিজস্ব নিয়মও এই সুন্দরী মেয়েটিকে অভিনয় ক্যারিয়ার থেকে দূরে রেখেছিল। এই সুন্দরী তারকার জীবনে অগ্রাধিকার স্পষ্টভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি চলচ্চিত্রের চেয়ে পরিবারকে প্রথম স্থান দিয়েছেন এবং সেই সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।

নম্রতা বর্তমানে রূপালি পর্দার বাইরে মহেশ বাবুর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পারিবারিক জীবনযাপন করছেন। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। ছেলে গৌতম এবং মেয়ে সীতারা।

গৌতম ইতিমধ্যেই সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন, অন্যদিকে সীতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ছোট তারকা হিসেবে জ্বলজ্বল করছেন।

এখনও, ৫৩ বছর বয়সেও, তিনি তার সুস্থ জীবনধারা এবং ফিটনেস দিয়ে একই সৌন্দর্য বজায় রেখেছেন। তিনি 'ভামসি' এবং 'অঞ্জি'র মতো সিনেমা দিয়ে তেলুগু দর্শকদের বিনোদন দিয়েছেন।