

নতুন বছর, নতুন স্ট্রেইন। করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে গোটা বিশ্ব এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এর মধ্যে এ দেশেও খোঁজ মিলেছে নতুন করোনার। কিন্তু স্বস্তি এটাই সংক্রমণের হার বেশ কিছু দিন ধরে প্রায় একই রকম রয়েছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


সরকারি নির্দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নজরে রাখা এবং তাঁদের স্বাস্থ্য কেমন থাকছে, সেই বিষয়টিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। আক্রান্তদের শনাক্তকরণ নিয়েও বেড়েছে তৎপরতা।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৫০ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৩ হাজার ১৮১ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২৫৬।


এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে, ১ কোটি ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০৯। এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৫৪ জন এবং মোট মৃত্যু ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৯৮। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৯৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৬১ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।


দেশের ৪ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ হাজারের বেশি থাকছে। তার মধ্যে রয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গ। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরালা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ এবং মৃতের সংখ্যা ৩০। ওই রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ ৬০ হাজার।


সেখানে মহারাষ্ট্রে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৫৮। ছত্তিশগড়ে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ২১। মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে মোট আক্রান্ত যথাক্রমে ১৯ লক্ষ ৩২ হাজার এবং ৩ লক্ষের আশেপাশে।


পশ্চিমবঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৭০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২৯। এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৩ জন। তবে দিল্লি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র কাছাকাছি রয়েছে।


তবে সুখবর দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ কিছু দিন ধরে ৫০০-র কাছাকাছি রয়েছে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৬ লক্ষ ২৫ হাজার।


এছাড়াও অন্যান্য রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষের কম। যেমন- কর্ণাটকে ৯ লক্ষ ১৯ হাজার, অন্ধ্রপ্রদেশে ৮ লক্ষ ৮২ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৮ লক্ষ ১৮ হাজার। বাকি রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষের আশেপাশে রয়েছে।