আপনার ১০ সংখ্যার প্যান কার্ড নম্বরের মানে জানেন? লুকিয়ে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!

যে কোনও আর্থিক পরিষেবা পেতে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক। অনেক সময় এটা পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সরকার এই প্যান কার্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ, ঋণ এবং করদাতাদের অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাতে পারে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৫ কোটির বেশি প্যান কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। প্যান কার্ডে জন্ম তারিখের নচেই রয়েছে পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর। প্যান কার্ডে লেখা নম্বরের প্রতিটি অক্ষর এবং সংখ্যার তাৎপর্য রয়েছে। সেটা কী? দেখে নেওয়া যাক।

প্যান নম্বরের অর্থ: প্যান কার্ডে ১০টি নম্বর থাকে। সেটাই প্যান নম্বর। সমস্ত প্যান নম্বরই আলফা নিউমেরিক ক্যারেক্টার। অর্থাৎ সংখ্যা এবং অক্ষরের সংমিশ্রণ।

প্রথম তিনটি অক্ষর ইংরেজি বর্ণমালার A থেকে Z পর্যন্ত যে কোনও কিছু হতে পারে। কোন অক্ষর থাকবে এবং কোন ক্রমে সেটা আয়কর দফতর ঠিক করে। 

চতুর্থ চরিত্র: চতুর্থ অক্ষরটি প্যান কার্ড হোল্ডারের অবস্থা বোঝায়। যেমন P থাকলে পার্সন বা ব্যক্তি বোঝায়।

আবার C-এর অর্থ কোম্পানি, H-এর অর্থ HUF (হিন্দু অবিভক্ত পরিবার), F-এর মানে অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্সন (AOP), T-এর অর্থ AOP (ট্রাস্ট), B-এর জন্য বডি অফ ইনডিভিজুয়ালস (BOI), L-এর অর্থ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, আর্টিফিসিয়াল জুডিসিয়াল পার্সনের জন্য J এবং সরকারের জন্য G।

পঞ্চম চরিত্র: পঞ্চম সংখ্যাটি হল পদবি (ব্যক্তির ক্ষেত্রে) বা প্রতিষ্ঠানের নামের প্রথম অক্ষর। যদি প্যান কার্ড হোল্ডার একক ব্যক্তি হন তাহলে পঞ্চম অক্ষরটি হবে তাঁর পদবির প্রথম অক্ষর। অন্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নামের প্রথম অক্ষর। ধরা যাক কারও নাম অতনু বর্মন। এক্ষেত্রে পঞ্চম অক্ষরটি হবে B।

নম্বর গেম: এরপর থাকে চারটি সংখ্যা। ষষ্ঠ থেকে নবম ডিজিটে ০০০১ থেকে ৯৯৯৯ পর্যন্ত যে কোনও কিছু হতে পারে। আসলে প্যান কার্ড তৈরির সময় আয়কর দফতরে যে সিরিজ চলছে এটা তার নম্বর।

পরিশেষে: শেষ অক্ষরটি হল চেক ডিজিট। পূর্ববর্তী নয়টি অক্ষর এবং সংখ্যায় একটি সূত্র প্রয়োগ করে এটা তৈরি করা হয়।