জানেন কেন হয় জামাই-ষষ্ঠী?
Last Updated:
প্রবাদে রয়েছে যম-জামাই-ভাগ্না, কেউ নয় আপনা ! অর্থাৎ এই তিন সম্পর্কেই কোনও দিন আপন হতে পারে না৷ যম মৃত্যুর দূত ৷
#কলকাতা: প্রবাদে রয়েছে যম-জামাই-ভাগ্না, কেউ নয় আপনা ! অর্থাৎ এই তিন সম্পর্কেই কোনও দিন আপন হতে পারে না৷ যম মৃত্যুর দূত ৷ ভাগ্নে অন্য বংশের ৷ তবে জামাই তো নিজের মেয়ের স্বামী ! তাহলে জামাই কেন আপন নয়? আর আপন যদি না-ই হয়, তাহলে সেই জামাইকে নিয়ে এত আদিখ্যেতা কেন? ঘটা করে জামাই-ষষ্ঠী পালন কেন?
আসলে হিন্দুশাস্ত্রে সব কিছুরই একটা ব্যাখা থাকে ৷ আর ব্যাখা অনুযায়ী, জামাইয়ের সঙ্গে শশ্বুর বাড়ির সম্পর্কটা হল একেবারেই স্বার্থের ওপর দাঁড়িয়ে ৷ এই স্বার্থপূরণের অনুষ্ঠানের নামই ‘জামাই-ষষ্ঠী’ ! আর এই উৎসবের প্রত্যেকটি নিয়ম-কানুনই এই স্বার্থকে মাথায় রেখেই ৷
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বাল যাক ৷ যে জামাই কখনও আপন হয় না বলে প্রবাদ, তাহলে তার জন্য এত ঘটা করে জামাই ষষ্ঠী পালন করার কি দরকার।কি দরকার পুজোর শেষে জামাইকে পাখা হাওয়া আর শান্তি জলের ছিটা দেওয়া! এমনকী, মা ষষ্ঠীর আশির্বাদ বলে জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো পরিয়ে দেওয়া! এ সবই বা কেন?
advertisement
advertisement
এই সবকিছুরই পিছনে রয়েছে গভীর স্বার্থ। আর এই স্বার্থটা হল জামাইকে তোষামদ । কারণ, এতে মেয়ে ভাল থাকবে। যম মানুষের মৃত্যু দূত। ভাগ্নে অন্যের বাড়ির ছেলে। কিন্তু, জামাই অন্যের বাড়ি হলেও মেয়ের সঙ্গে সাংসরিক বন্ধন থাকায় শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ। তাই যম, ভাগ্নে, ছেড়ে জামাইকে আপ্যায়ণের মানে মেয়েকে ভাল রাখা। আর এই কারণেই এত লোকাচার। হাজারো বিধি পালনের হিড়িক।
advertisement
জামাই-এর মঙ্গলার্থে ধান-এর ব্যবহার। কারণ, ধান সমৃদ্ধির ও বহু সন্তানের প্রতীক। দুর্বা ব্যবহৃত হয় চুর সবুজ ও চির সতেজের প্রতীক হিসাবে। এর মানে জামাই-এর দীর্ঘায়ু কামনা। এখানেই শেষ নয় জামাই-কে আশীর্বাদ করে ষাট-ষাট বলাটাও শাশুড়িদের নিয়মের মধ্যে পড়ে। মনে রাখবেন এর সমস্তটাই হচ্ছে শুধু জামাই-এর জন্য।
আসল কথা মেয়ে যাতে সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন কাটাতে পারে তাই জৈষ্ঠ মাসে নতুন জামাইকে আদর করে বাড়িতে এনে আম-দুধ খাইয়ে আশীর্বাদ হিসাবে উপহার দেওয়া।
view commentsLocation :
First Published :
June 14, 2018 11:36 AM IST

