Paschim Medinipur: মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়া জোগাড় করতে হিমশিম শিক্ষকেরা!

Last Updated:

স্কুল বিল্ডিং রয়েছে, রয়েছে পরিকাঠামো নেই পড়ুয়া,স্কুলের ছাত্র সংখ্যা খাতা-কলমে নয় জন।স্থানীয়দের দাবি তিনজন পড়ুয়া রয়েছে স্কুলে। শিক্ষক সংখ্যা দুই, স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান-শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের জেরেই আসতে চায়না পড়ুয়ারা।

+
title=

#পশ্চিম মেদিনীপুর : স্কুল বিল্ডিং রয়েছে, রয়েছে পরিকাঠামো নেই পড়ুয়া,স্কুলের ছাত্র সংখ্যা খাতা-কলমে নয় জন।স্থানীয়দের দাবি তিনজন পড়ুয়া রয়েছে স্কুলে। শিক্ষক সংখ্যা দুই, স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান-শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের জেরেই আসতে চায়না পড়ুয়ারা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌর এলাকায়, খড়ার সাঁতরা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রথমদিকে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল অনেক, কিন্তু কয়েক বছর ধরে আস্তে আস্তে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। ৩ জন পড়ুয়া ও ২ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে স্কুলের পঠন-পাঠন সাথে রয়েছে মিড ডে মিলের খাবার ব্যবস্থা। বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা কমার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। স্কুল চত্বরে এসে অন্য ছবি দেখা গেল, একজন ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কে? স্কুলে কি করতে এসেছেন, সোজা কথা উত্তর আমরা সাংবাদিক স্কুলের ছাত্র সংখ্যা কম তাই খবর করতে এসেছি, তারপরেই দেখা গেল ওই ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কি স্কুলের শিক্ষক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান না আমি প্রধান শিক্ষিকার স্বামী তপোজয় মণ্ডল, তারপরে স্কুলের গেট খুলতেই উনি পথ নির্দেশিকা দেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কোথায় কোথায় ছবি করতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গাইডলাইন বেঁধে দেন উনি। ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শুরু করে স্কুলের পাশে আসা অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে গেলেও উনি বাধার সৃষ্টি করেন, এমনকি অপর জন শিক্ষিক কে উনি ফোন করে ডাকেন স্কুলে আসার জন্য।  দীর্ঘক্ষণ ওনার দাদাগিরি চলার পর সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ক্যামেরায় উনাকে প্রশ্ন করতেই উনি ক্যামেরার সামনে কয়েকটি কথা বলেই দৌড়ে পালিয়ে যান। তারপরেও প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি কারো নাম না করে বলেন, যে এই স্কুলে উনি আসার পর থেকেই সমস্যা হচ্ছে। স্কুলের ছাত্রদের ভাঙিয়ে অন্যত্রে নিয়ে চলে যাচ্ছে কোন ব্যক্তি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মর্মান্তিক! কাঁসাই ব্রিজ থেকে পড়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন রেলকর্মী!
সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতির জেরে খড়ারের সাঁতরা পাড়া প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে পৌঁছে যান ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। স্কুলে পৌছে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন সুমন বাবু। কেন এলাকার মানুষ তাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না তা জিজ্ঞাসা করেন। এলাকার অভিভাবকরা সাফ জানিয়ে দেন প্রধান শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের জন্য তারা তাদের ছেলেদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ দেশ ব্যাপী প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যান, মেদিনীপুর শহরে পুরসভার পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান
এলাকার মানুষদের মহকুমা শাসক বুঝিয়ে বলেন সামনের স্কুলেই ছেলেদেরকে পাঠান আমি অনুরোধ করছি। আপনাদের অভিযোগ আমি খতিয়ে দেখব। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ব্রততী হাজরা মন্ডলের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মহকুমা শাসক সাফ জানিয়ে দেন এলাকার মানুষদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন। অভিভাবকরা যাতে তাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠান তার জন্য অনুরোধ জানাতে হবে । প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষককে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে নির্দেশ দেন মহকুমা শাসক।
advertisement
Partha Mukherjee
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Paschim Medinipur: মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়া জোগাড় করতে হিমশিম শিক্ষকেরা!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement