পশ্চিম মেদিনীপুর: গোটা ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার একাংশ জঙ্গলমহল বলে পরিচিত। সবুজ ঘেরা এই অংশে লুকিয়ে আছে অমূল্য রতন। শুধু গাছ, জ্বালানি কিংবা ফলের উৎস নয়। এখানে আছে মারণ ব্যধির ওষুধ তৈরির মূল উপাদান। আসলে ওষুধ তৈরিতে রাসায়নিক দ্রব্যের পাশাপাশি দরকার পড়ে গুরুত্বপূর্ণ সব গাছ-গাছড়া। মারণ রোগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এই গাছ-গাছড়ার ভূমিকা আরও বেশি। এই নিয়েই মেদিনীপুরে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে আয়োজিত হল এক বিশেষ আলোচনা সভা।
এই আলোচনা সভার বিষয় ছিল ফরেস্ট থেকে ফার্মেসি (Forest to Pharmacy)। কলেজের রসায়ন ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এর আয়োজন করে। অংশ নেয় প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রির সমীর কান্তি দত্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু আচার্য, ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি অফ কলকাতার অনুপ শিকদার, কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহা সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: স্থায়ী হেলিপ্যাড পেল উত্তর দিনাজপুর, উদ্বোধন করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
উল্লেখ জঙ্গলমহলে এমন সব গাছ পাওয়া যায় যা বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসার অন্যতম ওষুধ। কিন্তু সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বন। আর তার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধও। অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু আচার্য বলেন, লাল মাটির শাল জঙ্গলে এক ধরনের অস্ট্রিয়াস হাইগ্রোমেস্ট্রিকাস মাশরুম পাওয়া যায়। যার প্রচলিত নাম কুটকুট ছাতু। এই মাশরুম মানব দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিষেধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে লিভার, ফুসফুস, হার্টের রোগ, ক্যান্সারের কোষ নিরাময় এবং ব্লাড সুগার ও গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এটি। খাদ্য হিসেবে এর পুষ্টিগুণ বেশ যথেষ্ট। কিন্তু এই মাশরুমও ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই সেমিনার থেকে জঙ্গলমহলের বনাঞ্চল বাঁচানোর ডাক দেওয়া হয়। সচেতন করা হয় কলেজ পড়ুয়াদের।
রঞ্জন চন্দ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jangalmahal, Mashroom, West Medinipur News