কালিয়াগঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি আজও নাড়া দিয়ে যায় সকলকে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এখনও বিভিন্ন প্রান্তে এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও বা সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু প্রচারের আলোয় স্থান পেয়েছে, কিন্তু এখনও এমন কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, যা আজও রয়ে গেছে অন্তরালে।
সেই কারণেই এবার এঈই সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করার জোরাল দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা৷ তাঁদের দাবি, জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শনের ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হোক৷ এগুলি তুলে ধরা হোক পর্যটকদের সামনে৷ তৈরি হোক নতুন একটি ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট জোড়া অনলাইন গেমিংয়ের ফাঁদ! কোন বিপদ ডেকে আনছে আপনার সন্তান?
এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এর মধ্যে অন্যতম হল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজার ঢিপি৷ যা এখন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। কালিয়াগঞ্জ এর রতনে অবস্থিত এই রাজভিটা ইঁট বালি পাথর দিয়ে নির্মিত।
কথিত আছে, এই রাজ ঢিপিটি ছিল কোন এক রাজার তৈরি করা মন্দির। সেখানে কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি ছিল। কিন্তু আজ সেসব ইতিহাস। রাজা নেই, নেই তার রাজত্বও। কিন্তু সেই ঢিপিকে কেন্দ্র করেই এলাকার নাম হয়েছে রাজ ঢিপি। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এই ঢিপি দেখতে বহু মানুষ এখানে ভিড় করেন।
জানা যায়, এখানকার এক বাসিন্দা এই ঢিপিতে একটি কোদাল চালিয়ে যখন মাটি কাটছিল তখন সেই মাটির নীচ থেকে উঠে এসেছিল লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি। সেই মূর্তি এখন গ্রামবাসীরা একটি বাড়িতে রেখে সেখানে পূজো করেন। এই রাজভিটা ঠিক কতবছর আগেকার তৈরি তা অনুমান করতে পারেনি কেউ। ঝোপ জঙ্গলে ঘেরা প্রাচীন এই রাজভিটা আজ অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
এখানকার গ্রামবাসীরা জানান, রতনের এই রাজভিটা থেকে বেশ কয়েক বছর আগে দুটি বড় আকারের নারায়ণ মূর্তি পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা গ্রামে রেখে পুজো করতে শুরু করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রাচীন রাজভিটা সংস্কার করে এখানে পর্যটনের কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক৷ তাতে উত্তর দিনাজপুরের ঐতিহাসিক এই নিদর্শন অনেক সুনাম অর্জন করবে।
পিয়া গুপ্তা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Dinajpore