#কলকাতা: সম্প্রতি বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের প্রাইভেসি পলিসিতে। এ বিষয়ে, ১৪ জানুয়ারি দিল্লির কোর্টে একটি পিটিশন জমা পড়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, ফেসবুক সংস্থার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি আনা হয়েছে ইউজারদের উপর নজরদারি রাখতে। এই নতুন নিয়ম, জাতীয় সুরক্ষা ক্ষুন্ন করবে।
গত ৪ জানুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ইউজারদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য, যেমন ফোন নম্বর এবং লোকেশন, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার অধিকার আছে এই অ্যাপের। হোয়াটঅ্যাপের এই সিদ্ধান্তে, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ভারতের মতো দেশে, যেখানে ৪০ কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপ। শুধু ভারতবর্ষেই নয়, এই মেসেজিং অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তনের ফলে তুরস্কেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন প্রাইভেসি পলিসির প্রভাবে, এই সংস্থা হারাতে বসেছে ইউজারের সংখ্যা, বিশেষত ভারতে। বহু ভারতীয় এখন হোয়াটসঅ্যাপের বদলে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন সিগনাল অথবা টেলিগ্রাম-এর মতো অ্যাপ। আর সে কারণেই, বহু-ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপকে এখন খরচ করতে হচ্ছে বিজ্ঞাপনে।
ভারতীয় আইনজীবী চৈতন্য রোহিলা দিল্লি হাই কোর্টে তাঁর জমা দেওয়া পিটিশনে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে লিখেছেন, “এটি কার্যত প্রতিটি ইউজারের অনলাইন অ্যাকটিভিটির উপর পুরোপুরি নজর রাখবে।” আইনজীবীর মতে, ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য এভাবে অন্য দেশে চলে গেলে জাতীয় সুরক্ষা ক্ষুন্ন হবে। পিটিশনে তিনি আরও বলেছেন, প্রতিটি মানুষের নিজের প্রাইভেসি নিয়ে চলার মৌলিক অধিকার হস্তক্ষেপ করছে হোয়াটস্যাপ সংস্থা। এ দিকে নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মত হতে হোয়াটস্যাপ মেসেঞ্জার ইউজারদের সময় দিয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Privacy policy, Whatsapp