#নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্ত বিবাদের জেরে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে ছিল ভারত সরকার। এবার তাদের পাকাপাকি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে নতুন নোটিশ দিয়েছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে যে, টিকটক, উইচ্যাট-সহ মোট ৫৯ টি চিনা অ্যাপ বরাবরের মতো নিষিদ্ধ করছে ভারত। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক নিষিদ্ধ ঘোষিত অ্যাপগুলির কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল যে, তারা কীভাবে ব্যবহারকারীদের থেকে বিভিন্ন তথ্য গ্রহণ করে। সেগুলি কী কাজে লাগে। কোম্পানিগুলি যে জবাব দিয়ে ছিল, তাতে সরকার সন্তুষ্ট হয়নি। তাই অ্যাপগুলি বরাবরের মতো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল।
ভারত-চিন সংঘর্ষ ও ২০ জন ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার উত্তপ্ত আবহে গত ২৯ জুন ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করে ছিল ভারত সরকার। সরকার যে সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে তাদের মধ্যে টিকটক, হেলো, উই চ্যাট, ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, ক্যাম স্ক্যানার, ক্ল্যাশ অফ কিংস, ক্লাব ফ্যাক্টরি, বিগো লাইভ ইত্যাদি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারার এবং ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করেছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ৫৯টি মোবাইল অ্যাপ হল ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার, ভারতের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা এবং গণ-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য হানিকর'।
তথ্যসংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে বলা হয়, নানা সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, অ্যানড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে এমন কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। বেআইনিভাবে সেই তথ্য পাচার করে বিদেশে। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তথ্য চুরির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। নভেম্বরে অতিরিক্ত ৪৩টি চিনা মোবাইল অ্যাপের উপর ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। গতবছর মোট ২০০ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল জনপ্রিয় স্মার্টফোন গেম পাবজি।