#বেঙ্গালুরু: কথায় বলে, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট! বেঙ্গালুরুর এই চিকিৎসকের সঙ্গেও খানিকটা একই রকম ঘটনা ঘটেছে। সস্তায় Apple iPad পাওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। আর তার জেরেই সাইবার ফ্রডের ফাঁদে পড়ে খোয়াতে হল ১৯.২ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি একটি iPad কিনতে চেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর এই বাসিন্দা। দেশের বাজারে iPad-টির দাম ছিল প্রায় ৮০,০০০ টাকা। এমন সময়ে অনলাইনে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। সে জানায়, দুবাই থেকে ৪৫,০০০ টাকায় এই একই মডেলের iPad কিনে দেবে। অর্ধেক দামে iPad কেনার লোভ সামলাতে পারেননি চিকিৎসক। স্বভাবতই প্রতারকের ফাঁদে পা দেন। অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫,০০০ টাকা ট্রান্সফার করে দেন। কিন্তু তখনও হাতে iPad আসেনি। বলা হয়, সেলস ট্যাক্স ও অন্যান্য ট্যাক্স বাবদ আরও কিছু টাকা লাগবে। এর পর কম দামে একসঙ্গে পাঁচটি iPod, পাঁচটি স্মার্ট ওয়াচ ও দু'টি ল্যাপটপ কেনার এক আকর্ষণীয় অফার দেওয়া হয় ওই চিকিৎসককে। ধীরে ধীরে প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দুই মাসের মধ্যে ১৯.২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু এর পরও কোনও প্রোডাক্টের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে মাগাডি রোড পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
বলা বাহুল্য, দিনের পর দিন সাইবার ফ্রডের ঘটনা বেড়ে চলেছে। দেশের নানা প্রান্তে অনলাইনে নানা ধরনের প্রতারণা, আর্থিক তছরুপের শিকার হচ্ছেন মানুষজন। গত বছরের শেষের দিকে খানিকটা একই রকম ভাবে নিজের বাইক হারান মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি। বিক্রির জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে নিজের মোটরসাইকেলের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। এর পর দু'জন এসে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাড়িতে গাড়ি দেখতেও পৌঁছে যায়। বাইকটি দেখার পর টেস্ট ড্রাইভের কথা জানায় তারা। সেই মতো মালিক তাদের হাতে বাইকের চাবি দেন। দেখতে দেখতে টেস্ট ড্রাইভের নামে বাইক নিয়েই উধাও হয়ে যায় প্রতারকরা। শেষমেশ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।
এর আগে গুয়াহাটির এক বাসিন্দাও একই ভাবে ৭২,৬০০ টাকা খুইয়ে ছিলেন। একটি ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে ই-মেলে কথা শুরু হয় দুই পক্ষের। সেখানে ওই ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ ১৫,০০০ টাকা দিতে বলা হয়। তার পর নানা বাহানায় নানা হিসেব দেখিয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে টাকা চাওয়া হয়। আর Google Pay-তে টাকা পাঠাতে থাকেন ব্যক্তি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৭২,৬০০ টাকা বেরিয়ে যায়।