Phone Hacking Awareness: ফোনে এই কাজ করছেন? সব টাকা সাফ হবে, জানুন উপায়
Last Updated:
হ্যাকার, অনলাইন প্রতারকরা যেকোনও দেশের যেকোনও নাগরিকের মূল্যবান তথ্য চুরি করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগায়। খুব সাধারণ কয়েকটি কৌশল কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা হ্যাকিং করে থাকে।
মুম্বই: প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বছর পার করে এল মানব সভ্যতা। ২০২৩ সালে AI দেখাল নতুন পথ। তাই ২০২৪ সাল থেকে বিষয়টা আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠবে বলেই মনে করা যায়। আসলে প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে, ততই বাড়ছে জালিয়াতদের রমরমা।
হ্যাকার, অনলাইন প্রতারকরা যে কোনও দেশের যেকোনও নাগরিকের মূল্যবান তথ্য চুরি করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগায়। খুব সাধারণ কয়েকটি কৌশল কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা হ্যাকিং করে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে ফিশিং, ম্যালওয়্যার, পাবলিক Wi-Fi, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাক এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ নিরাপত্তা কবচ।
আরও পড়ুন Cheap Chop: সস্তার মোচার চপে কামড় দিয়েই মন ভরছে সকলের, দামও জাস্ট ৫টাকা!
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে।
advertisement
advertisement
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জালিয়াতদের দৌরাত্ম্যও বাড়ছে। অনেক সময়ই এরা লুকিয়ে থেকে কোনও দুর্বলতাকে কাজে লাগায়, মূল্যবান তথ্য চুরি করার জন্য শক্তিশালী ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করে৷ ব্যক্তি বিশেষ থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কার্যালয়, যেকোনও কিছুই হয়ে উঠতে পারে এদের লক্ষ্যবস্তু।
ফিশিং অ্যাটাক—সাইবার জালিয়াতির এক ধ্রুপদী কৌশল বলা চলে ফিশিং-কে। হ্যাকাররা বিশ্বস্ত কোনও সংস্থার পরিচয় ভাঙিয়ে যেকোনও মানুষকে প্রতারণা করতে পারে। যেকোনও সাধারণ মানুষের কাছে এমন কোনও ইমেল বা মেসেজ আসতে পারে, যাতে আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কোনও অ্যাটাচমেন্ট থাকতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে। অথবা, কোনও বিনামূল্যের অ্যাপ ডাউনলোড করলেও ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ। আসলে এগুলির ভিতরেই থাকতে পারে ম্যালওয়্যার। ক্ষতিকারক এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর ডিভাইসকে সংক্রামিত করে ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য, ফোটো, ব্যক্তিগত চ্যাট চুরি করে নিতে পারে৷ চুপচাপ বসে থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে।
advertisement
পাবলিক Wi-Fi—বিনামূল্যে ইন্টারনেট পাওয়ার তাগিদে অনেকেই পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করেন। এটা বিপজ্জনক। হ্যাকাররা সহজেই ব্যবহারকারীদের ডেটা, পাসওয়ার্ড এবং আর্থিক তথ্য চুরি করতে পারে।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাকস—সমস্ত হ্যাকিং-ই প্রযুক্তি নির্ভর নয়। কোনও হ্যাকার ফোন করে বা অন্য উপায়ে কারও ব্যক্তিগত বিবরণ জানার জন্য চাপ দিতে পারে বা ক্ষতিকারক লিঙ্কে ক্লিক করতে বাধ্য করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরা গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দেয়।
advertisement
অসুরক্ষিত ডিভাইস—পুরানো সুরক্ষা ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে হ্যাকাররা সব থেকে বেশি জালিয়াতি করে। দুর্বল ডিজিটাল নিরাপত্তা পরিকাঠামো ভারতের মতো দেশে বিশেষ বিপদ। এই ফাঁকেই AIIMS-এ র্যানসমওয়্যার আক্রমণ হয়েছিল। পুরনো সফ্টওয়্যার ব্যবহার করলে অপারেটিং সিস্টেমগুলির ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে হ্যাকাররা সহজে আক্রমণ করতে পারে।
আরও পড়ুন Tasty Chicken Dish: কোন পাতায় পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে চিকেনের স্বাদ অসাধারণ? জানেন কী খাবার এটি?
বাঁচার উপায়—
advertisement
-কী ডাউনলোড করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে নিতে হবে সচেতন ভাবে।
-বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে।
-পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য একটি VPN ব্যবহার করা যেতে পারে।
-অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে পরিচয় যাচাই করতে হবে। বৈধ বলে মনে হলেও সন্দেহ রাখতে হবে মনে।
-সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সফ্টওয়্যার এবং ডিভাইস আপডেট দরকার।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 03, 2024 4:39 PM IST