রোনাল্ডোকে ছাড়াই ফাইনালে বাজিমাত ! প্যারিসে ইতিহাস গড়লেন পর্তুগিজরা

Last Updated:

ফ্রান্স: ০ পর্তুগাল: ১ ( এডার- ১০৯')

ফ্রান্স: ০
পর্তুগাল: ১ ( এডার- ১০৯')
#প্যারিস: সেমিফাইনালে গ্যারেথ বেলের ওয়েলসকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর পর্তুগালকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আরও বেড়ে গিয়েছিল ৷ এমনিতেই এই দলে একজন এমন বিশেষ ফুটবলার রয়েছেন , যাঁর খেলা দেখতে গোটা বিশ্ব মাঝরাতেও টিভির সামনে বসে থাকতে রাজী ৷ সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো রবিবার ফাইনালটা শুরু করেছিলেন বাড়তি উদ্যম নিয়েই ৷ কিন্তু তারপরেই হঠাৎ কি যেন একটা হয়ে গেল ৷ পায়েতের কড়া ট্যাকলের পরে পা ধরে মাটিতে বসে পড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো ৷ কিন্তু তিনি যে মাঠে থাকতেই পারবেন না, স্ট্রেচারে করে বেরিয়ে যেতে হবে ৷ সেটা হয়তো কেউই আশা করেননি ৷ কিন্তু ২৪তম মিনিটে হঠাৎই সব শেষ ৷ ক্যাপ্টেনের আর্ম ব্যান্ডটা ন্যানির হাতে পরিয়ে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন সিআরসেভেন ৷ 
advertisement
advertisement
ফ্রান্সকে যতই সবাই ফেভারিট ধরুক না কেন বিপক্ষে রোনাল্ডোর মতো ফুটবলার থাকলে ম্যাচে যা খুশি হতে পারে। ফাইনালের সব হার্ডল টপকে ইউরো কাপ ঘরে তুলল পর্তুগাল। স্রেফ একটিই মন্ত্রকে হাতিয়ার করে। সেটা হল টিম গেম। একটা সময়ে ফরাসি আক্রমণের ঢেউয়ে মনে হয়েছিল, এই বুঝি গোল হয়ে গেল। কিন্তু হয়নি। এগারো পর্তুগিজের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল এই ইউরোর ফাইনাল।
advertisement
দলের মহাতারকাকে হারানোর একটা মানসিক ধাক্কা তো থাকেই। কিন্তু মাঝে মাঝে সেটা তাতিয়ে দেয় দলকে। পর্তুগালের মধ্যেও সেটাই ছিল। ১০৯ মিনিটের মাথায় এডারের গোলটাও দুর্দান্ত। এ রকম একটা রোনাল্ডো-হীন ম্যাচে চাপ নেওয়া সহজ কথা নয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে এডারের গোলটা ছিল ক্লিনিকাল ফিনিশ। দুরন্ত গোলার মতো শট ৷ ফ্রান্সের গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না ৷
advertisement
2390648_w2
পর্তুগালের মহাতারকা বসে যাওয়ার পরে মনে হয়েছিল ফ্রান্সের গোলটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বাস্তবে হল এর ঠিক উল্টোটা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে ৷ কয়েকটা আক্রমণ করলেও ফিনিশিং টাচটা দিতে পারছিলেন না ফরাসি স্ট্রাইকাররা ৷ এই সময় বল পজেশনও বাড়াতে সফল পর্তুগাল ৷ তবে তাদের হয়তো একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যেভাবেই হোক, ম্যাচটাকে কোনওভাবে টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ৷ অতিরিক্ত সময়তেই গোল পেয়ে যাওয়াটা পর্তুগিজ শিবিরের কাছেও যথেষ্ট অপ্রত্যাশিত ছিল ৷
advertisement
পর্তুগালের পেপে-ফন্তে জুটি আঁটসাঁট ছিল। মাঝমাঠে উইলিয়াম কারভালহো আগাগোড়া দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। পোগবা-গ্রিজম্যানের কোনও কম্বিনেশন তৈরি হতে দেননি। তাই দিদিয়ের দেশঁর দল এদিন সবকিছু করলেও গোলটাই করতে পারেনি ৷ পর্তুগালের গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিওর কথাও আলাদা করে বলতে হবে ৷ ম্যাচে তাঁর দুর্দান্ত কয়েকটা সেভ না হলে এদিনের ম্যাচের ফল কিন্তু অন্যরকম হতেই পারত ৷
advertisement
গ্রুপ লিগে একটাও ম্যাচ না জিতে (সবক’টা ড্র করে) নক-আউট পর্বে উঠেছিল পর্তুগাল ৷ এরপর প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিফাইনালেও উঠে যায় তারা ৷ এর জন্য বিভিন্ন সময় নানা সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে রোনাল্ডো অ্যান্ড কোম্পানিকে ৷ কিন্তু রবিবার স্তাদ দ্য ফ্রান্সেই সব সমালোচনার যোগ্য জবাব দিতে সফল ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল ৷ ইউরো হোক বা বিশ্বকাপ, এতদিন সেমিফাইনালিস্ট বা ফাইনালিস্ট তকমাই শুধু জুটেছিল পর্তুগিজদের ৷ প্যারিসে সেই রেকর্ড অবশেষে বদলালো ৷ ইউসেবিও, ফিগোরাও যা পারেননি ৷ সেটাই করে দেখাতে সফল নতুন প্রজন্মের এই পর্তুগাল ফুটবল দল ৷
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
রোনাল্ডোকে ছাড়াই ফাইনালে বাজিমাত ! প্যারিসে ইতিহাস গড়লেন পর্তুগিজরা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement