#শিলিগুড়ি: উইকেট রক্ষক হিসেবে ভারতের মহিলা দলে তার ক্ষমতার নিদর্শন রেখেছেন বাংলার মেয়ে রিচা ঘোষ। তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া, তার প্রমাণ মিলেছে। আসলে খেলা রিচার রক্তে। ক্রিকেটের স্পিরিট এবং স্পোর্টসম্যান স্পিরিট সম্পর্কে তার ধারণা ছোটবেলা থেকেই। ঋদ্ধিমান সাহার শহর শিলিগুড়ি থেকেই উঠে আসা মেয়েটার। অল্প সময়ে প্রতিভার জোরে নজর কেড়ে নেন।
মাত্র চার বছর বয়সে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় রিচার। আর পাঁচটা শিশুর মতো পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলত রিচা। খেলার প্রতি মেয়ের আগ্রহ দেখে বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রশিক্ষণ দিতে নিয়ে যান বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। পেশায় ব্যবসায়ী মানবেন্দ্রর দুই মেয়ে। মানবেন্দ্র নিজেও ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতেন। তাই মেয়ের খেলার প্রতি প্রথম থেকেই যত্ন নিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চারটি ক্যাচ এবং দুরন্ত একটি স্টাম্প আউট করে খবরের শিরোনামে বাংলার মেয়ে। যদিও তার বাবা মনে করেন এখনও অনেক উন্নতি প্রয়োজন রিচার। বিশেষ করে ব্যাট হাতে রিচা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক রান করে প্লেড অন হয়ে যান। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও ব্যর্থ। রান করতে পারেননি। কিন্তু তার ব্যাটিং ক্ষমতা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে দেখা গিয়েছিল। মানবেন্দ্র বাবু আশাবাদী পরের ম্যাচে সুযোগ পেলে নিজের ভুল শুধরে নিতে পারবে রিচা।
কারণ এই দলে শুধু উইকেটরক্ষক হিসেবে নয়, রিচার ব্যাটিংয়ের ওপর অনেকটা নির্ভর করে দল। ছয় নম্বরে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান করার ক্ষমতা রাখেন। ফোনে জানালেন রিচা নিজেও মুখিয়ে থাকবেন রান করার জন্য। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজ, দীপ্তি শর্মাদের মত ক্রিকেটারদের থেকে সবসময় সাহায্য পান রিচা। এটা মেয়ের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে মনে করেন মানবেন্দ্র বাবু।
এই মুহূর্তে সব সময় ফোনে কথা বলা সম্ভব নয়। তিনি মেসেজ করে দেন। সময় পেলে ফোন করেন রিচা। ভারতের পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। শক্তিতে যারা পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে। কি উপদেশ দেবেন মেয়েকে? বিচার বাবা বলছেন, ওকে উপদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ও জানে কি করতে হবে। আমি শুধু ওর স্বাভাবিক ক্রিকেট দেখতে চাই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।