#টোকিও: খুব বেশি দিন হয়নি তিনি ভারতের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের কাজটা করে গিয়েছেন ঠান্ডা মাথায়। বুঝতে চেষ্টা করেছেন দলের দুর্বলতা। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়াটাও ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আজকের পর মনে হচ্ছে সব চ্যালেঞ্জে সফল তিনি। ভারতের কোচ গ্রাহাম রিড। এমনিতে কম কথার মানুষ। কিন্তু আজ তার দল ইতিহাস সৃষ্টি করার পর কিছুটা আবেগপ্রবণ এই অস্ট্রেলিয়ান।
পরিষ্কার জানিয়েছেন যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখনই জানতেন প্রতিভার অভাব নেই ভারতে। দরকার সঠিক মানসিকতা এবং ট্যাকটিক্যাল অস্ত্র। এই দুটো জিনিসের ওপরই নির্ভর করে আধুনিক হকির সাফল্য। নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন এই দুটি জায়গায় উন্নতি করতে। অলিম্পিকে আসার আগে ফর্মে থাকা ফরওয়ার্ড আকাশদীপ, অভিজ্ঞ সুনীলদের ছাড়াই দল করেছিলেন। কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। তবে আজকের পর সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া হয়ে গিয়েছে সমালোচকদের।
তাঁকে দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়ার দাবি উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। রিড অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। ইতিহাস স্পর্শ করে তিনি মনে করেন দলের প্রত্যেকের আত্মত্যাগ, পরিশ্রম এবং নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদ এই সাফল্য এনে দিয়েছে। ভারতীয়রা মানসিক দিক থেকে প্রচন্ড শক্ত মনে করেন তিনি। কিন্তু এই বিশ্বাসটা দলের মধ্যে ঢোকানো ছিল তার প্রধান কাজ।
তিনি জানেন ভারতবর্ষের হকির পালে নতুন হাওয়া লাগল আজকের পর থেকে। সুমিত, হরমন, মনদিপ, মনপ্রীতদের নাম আজ দেশের সব ঘরে। রিড মনে করেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয় মাঠে। এটাই নিয়ম। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা সাফল্য পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত। তিনি জানতেন এই ছেলেরা আঘাত খেলে, প্রত্যাঘাত করতে জানে। সেটাই আজ প্রমাণ হয়েছে।
নিজে বার্সেলোনা অলিম্পিকে রূপো জয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলের সদস্য ছিলেন। জানেন পদক পাওয়া আর না পাওয়ার মধ্যে তফাৎ কতটা। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ছেলেদের তৈরি করেছিলেন। আজ তিনি সফল। তার ভাবনা সোনা ফলিয়েছে। চার দশক পর ভারতের হকি পোডিয়াম ফিনিশ করেছে। গ্রাহাম রিডকে দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়ার দাবি ওঠা অমূলক নয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indian Hockey, Tokyo Olympics 2020