#টোকিও: ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটের সময় অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ ২৩ জুলাই শুরু হল এবারের অলিম্পিক্স৷ কোভিড অতিমারির কারণে গত বছর নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা যায়নি৷ তাই এবছর হচ্ছে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্স৷ টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এখন চলছে গ্রেটস্ট শো অন দ্য আর্থ৷ ইতিমধ্যেই জ্বলে উঠল অলিম্পিক্সের পূতাগ্নি৷
অলিম্পিক গেমসের মশাল রিলের শেষ কাবুকি অভিনেতা নাকামুরা কানকুরো (Nakamura Kankuro) মূল অগ্নিস্তম্ভে আগুন দিয়ে দেন৷ দেখে নিন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত৷
The torch relay concluded its journey in #Tokyo, with Kabuki actor Nakamura Kankuro serving as the final torchbearer in the iconic ceremony.
Follow us on Telegram https://t.co/4xzXvo6aO3 pic.twitter.com/a3DUhfmCK1 — RT (@RT_com) July 23, 2021
Olympic cauldron -র পূতাগ্নি জ্বালিয়েই চিরকাল অলিম্পিক গেমসের সূচনা করা হয়৷ এবারে করোনা কালে অন্যরকমভাবে হলেও সেই নিয়ম মেনেই হল অগ্নি প্রজ্বলনের কাজ৷ মূল স্টেডিয়ামে জ্বলে ওঠার আগে একমাস ধরে সারা পৃথিবীর অ্যাথলিটদের হাতে হাতে ঘোরে এই আগুন৷
১৯২৮ সাল থেকে আধুনিক অলিম্পিক গেমসের সূচনা হিসেবে ধরা হয়৷ পুরনো সময়ে গ্রিসে যে খেলা শুরু হয়েছিল তাই চলছে৷ ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিক গেমসে প্রথম এভাবে মশাল জ্বালানো শুরু হয়৷ গ্রিসের অলিম্পিয়ায় ছিল প্রথম অলিম্পিক গেমসের আসর৷
এই অগ্নি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে একটি প্যারাবলিক আয়নাতে সূর্যের রশ্মিকে ব্যবহার করে অলিম্পিক অগ্নি জ্বালানো হয়৷ তারপর সেই আগুন অলিম্পিক গেমসের মশাল জ্বালিয়ে রিলে শুরু হয়৷
সাধারণত গেমসের একমাস আগে থেকে এই দৌড় শুরু হয়৷ কিন্তু টোকিও অলিম্পিক্সের এক বছর আগে থেকে এই মশাল দৌড় শুরু হয়েছিল৷ প্রথম অগ্নি প্রজ্জ্বলন হয়েছিল ২০২০ সালের ১২ মার্চ৷ কারণ সেই সময়ে ২০২০ তে অলিম্পিক্স হওয়ার কথা ছিল৷
অলিম্পিক্সের এই টর্চ এবার দেখতে জাপানের চেরি ব্লসমের (Japanese cherry blossom) সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে করা হয়েছে৷ একটি পাঁচ পাপড়ির ফুলের মতো দেখতে একটি জায়গা থেকে আগুন রয়েছে৷ টর্চটি অ্যালুমিনিয়াম ও আবাসস্থল থেকে পাওয়া পুর্নব্যবহারযোগ্য বস্তু দিয়ে তৈরি৷ ২০১১ তে ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে যে অস্থায়ী বাড়ি তৈরি হয়েছিল সেই অস্থায়ী বাড়ি থেকেই পাওয়া গেছে এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।