কলকাতা: কলকাতার নজরুল তীর্থ কিংবা শান্তিনিকেতনের বনছায়া অথবা বাঁশবেড়িয়ার প্যাভিলিয়ন অফ ক্যানোপিজ। এই রাজ্যে তাক লাগানো স্থাপত্যের মূল কারিগর অবনী চৌধুরী এবার সবুজ মেরুন সজ্জায়। ঢেলে সাজানো হচ্ছে গঙ্গাপাড়ের মোহনবাগান ক্লাব। ঐতিহ্যের ক্লাবে এবার আধুনিকতার ঝলমলানি।
শতবর্ষের ঐতিহ্য অটুট রেখে আধুনিকতার মিশেলে সবুজ-মেরুন ক্লাব টেন্ট নতুন করে গড়তে সৃঞ্জয় বোস, দেবাশীষ দত্তরা ভরসা রেখেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি স্থপতি অবনী চৌধুরীর ওপরেই। কাজটা সহজ নয়, তাই সময় নিয়েই এগোচ্ছেন কলকাতায় অসংখ্য স্থাপত্যের নেপথ্যে থাকা অবনী চৌধুরী।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে পড়শি ক্লাবের থেকে এগিয়েই ছিল গঙ্গাপাড়ের সবুজ মেরুন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গর্বের জায়গা ছিল সাজানো-গোছানো, ঝাঁ-চকচকে ক্লাব। সৃঞ্জয় জমানায় এবার সেখানেও লাল-হলুদকে টেক্কা দেওয়ার পথে সবুজ-মেরুন। আধুনিক সাজসজ্জায় সেজে উঠছে শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান। বাজেট প্রায় কোটি টাকা।
সবুজ-মেরুন ক্লাব কর্তাদের দাবি, শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের গেট (প্রবেশদ্বার) হবে ময়দানের সেরা। অগাস্ট মাস থেকে গেট তৈরির কাজ শুরু হবে সবুজ মেরুনে। পদ্মশ্রী চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত ক্লাবের গেট দেখতেই গোষ্ঠ পাল সরণিতে ঢল নামবে, এমনটাই দাবি মোহনবাগানীদের।
ক্লাবের অন্দরেও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশছে আধুনিকতা। কলকাতা ময়দানের তাবুতে ফলস সিলিংয়ের (ছাদের) ব্যবহার থাকলেও মোহনবাগান টেন্টে ব্যবহার করা হবে স্কাইলাইট প্রযুক্তি। এর ফলে সূর্যের আলো ক্লাবের ছাদ চুইয়ে সরাসরি ঢুকবে তাবুর অন্দরে।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে ট্রফি গ্যালারি। ১৯১১-র গর্বের আইএফএ শিল্ডের পাশে সেখানে ঝলমল করবে ডুরান্ড, রোভার্স, ডিসিএম-সহ আই লিগ ট্রফি। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম আগেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মোহনবাগান গ্যালারির নিচে। ফলে তাঁবু সংস্কারের ক্ষেত্রে বাড়তি জায়গা ব্যবহার করা হবে ক্লাবের মিউজিয়াম তৈরির জন্য।
ক্লাবের অন্দরমহল সাজানো থাকবে বাগানের ঐতিহ্যের পালতোলা নৌকা দিয়ে। ক্যানোপি পদ্ধতিতে ক্লাবের অন্দরে ছাদ থেকে ঝুলবে পাল-তোলা নৌকা। সভাপতি, সচিব, অর্থসচিবদের বসার ঘরের পাশাপাশি থাকবে বিশালাকার কনফারেন্স রুম। নিরাপত্তার জন্য বসানো হচ্ছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mohun Bagan