#লন্ডন: ইংল্যান্ড জুড়ে এখন আনন্দ উদযাপনের সময়। পাবে, বারে, খেলার মাঠে, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ 'ইটস কামিং হোম' ধ্বনিতে মাতোয়ারা। ইউরো ২০২০ এর ফাইনালে যে উঠেছে তাদের দেশ, আনন্দ তো করতেই হবে। কিন্তু প্রতিটি সমর্থক ভুলে গেছে যে করোনার ত্রাস এখনও যায়নি। ইংল্যান্ড ডেনমার্কের সেমি, ইতালি স্পেনের ম্যাচ, জার্মানির সাথে ইংল্যান্ডের ম্যাচ সবই হয়েছে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রতি ম্যাচে গড়ে ৬০০০০ দর্শক জমায়েত হয়েছে।
রবিবার ইতালির বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটা কিন্তু সেই লন্ডনের ওয়েম্বলিতে হতে চলেছে। ডেনমার্কের ম্যাচের পর গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে করোনার ৩য় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩য় দফার লকডাউন তুলতেই এই মারাত্মক সংক্রামক ডেল্টা স্ট্রেনে এক ধাক্কায় কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে গেছে। শুধু ইংল্যান্ড বলে না, ইটালিতেও এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে।
মহামারী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ইউরো এর প্রধান কারণ, এবং পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার অত্যধিক বেশি হওয়ার কারণও চলতে থাকা এই মহাদেশীয় কাপ। ইমুউনোলজিস্ট ডেনিস কিনেন বলছেন, সাধারণত ফুটবল যেহেতু পুরুষরা বেশি পছন্দ করে, তাই মাঠের ভিড়ে পুরুষের সংখ্যাই বেশি, যা শুধু একটি লিঙ্গের মানুষের মধ্যে অত্যধিক সংক্রমণের একটি কারণ হতে পারে।
তাই তিনি মনে করছেন লনকডাউন আনলক করায় সংক্রমন এক ধাক্কায় আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ একটি গবেষণা করে দেখেছে, শেষ এক মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ গুন বেড়ে গেছে এবং মহিলা আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষদের থেকে ৩০% কম। এর কারণ হিসেবে ইম্পেরিয়াল কলেজও মনে করছেন ফুটবল মাঠে পুরুষদের জমায়েতকেই।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে মাঠের থেকেও, ম্যাচের সময় পাবে, বারে বা রাস্তাতেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ জমায়েত হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশবাসীকে বলেছে তাদের দেশকে ' উৎসাহ নিয়ে কিন্ত দায়িত্ব সহকারে ' সমর্থন করতে।প্রিন্স উইলিয়াম এবং বরিস জনসন নিজেরাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন হ্যারি কেন, স্টারলিংদের হয়ে গলা ফাটাতে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020