ইতালির অভিজ্ঞতা নাকি ইংল্যান্ডের গতি? আজ ফাইনালে বাজিমাত করবে কারা?
ইতালির অভিজ্ঞতা নাকি ইংল্যান্ডের গতি? আজ ফাইনালে বাজিমাত করবে কারা?
ইংল্যান্ড বনাম ইতালি জমজমাট লড়াই ফাইনালে
নিজেদের ঘরের মাঠে ইতিহাস তৈরি করতে মরিয়া ইংল্যান্ড শিবির। হ্যারি কেন গোলের ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন। রহিম স্টারলিং দুর্দান্ত খেলছেন। রাইস, ফিলিপস মিডফিল্ড সামলাচ্ছেন
#লন্ডন: প্রত্যেক দলেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। ইতালিও ব্যতিক্রম নয়। স্পেনের বিরুদ্ধে লিড নেওয়ার পর অহেতুক রক্ষণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এই কারণেই এনরিকে-ব্রিগেড ম্যাচে ফেরে। রবিবার ওয়েম্বলিতে দর্শকদের চাপ নিতে হবে ইতালিকে। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম ও ধারাবাহিকতার নিরিখে এই ইতালিকে বশ মানানো সহজ হবে না। ২০১২ সালের পর ফের কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে নামছে ইতালি। রাশিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের ব্যর্থতার গ্লানিকে পিছনে ফেলে কোচ রবার্তো মানচিনির হাত ধরে চলতি ইউরো কাপে নতুন ভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে আজ্জুরিরা।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই চ্যাম্পিয়নশিপকে পাখির চোখ করেই এগিয়েছে চিয়েলিনি-ভেরাত্তিরা। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি কোনও গোল হজম করেনি তারা। দলের প্রত্যেক ফুটবলারের উচ্চতা বেশ ভালো। প্রথম একাদশের মতো রিজার্ভ বেঞ্চও সমান শক্তিশালী। টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থেকে রবিবার ফাইনালে নামছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চলতি ইউরো কাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। চাপের মুখে দারুণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে ২২ বছর বয়সি দুর্গপ্রহরীটির। সেমি-ফাইনালে টাই-ব্রেকারে তার প্রমাণ মিলেছে।
অভিজ্ঞতার দিকে ইতালির দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জিওর্জিও চিয়েলিনি ও লিওনার্ডো বোনুচ্চির জুড়ি মেলা ভার। ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি দেশের জার্সিতে ওরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলছে। ইতালির হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। কর্নার কিংবা ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করার ক্ষেত্রেও সমান পারদর্শী। পাশাপাশি দুই উইং ব্যাকও ওদের সহযোগিতা করে থাকে। ওভারল্যাপে ওঠা থেকে শুরু করে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে চার ডিফেন্ডারের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ।
স্পিনাজোলা ছিটকে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল, সমস্যায় পড়বে আজ্জুরিরা। তবে গত ম্যাচে ওর অভাব বুঝতে দেয়নি এমেরসন। ইতালি দলের হৃদপিণ্ড মাঝমাঠ। যা পরিচালনা করে মার্কো ভেরাত্তি। হিমশীতল মস্তিষ্কের ফুটবলার। ওর সঙ্গে রয়েছে সদ্য চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা জর্জিনহো ও ইন্তার মিলানের নিকোলো বারেল্লা। এই তিনজনকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। এই দলটার রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণভাগেও সমান শক্তিশালী। ইম্মোবাইল, ইনসিগনে ও চিয়েসা নিয়মিত গোল করছে। পাশাপাশি পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেও স্কোরশিটে নাম তোলার ক্ষেত্রে সমান দক্ষতা রয়েছে বেরার্দি ও বেলোত্তির।
অন্যদিকে নিজেদের ঘরের মাঠে ইতিহাস তৈরি করতে মরিয়া ইংল্যান্ড শিবির। হ্যারি কেন গোলের ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন। রহিম স্টারলিং দুর্দান্ত খেলছেন। রাইস, ফিলিপস মিডফিল্ড সামলাচ্ছেন। ডিফেন্সে লুক শ, ওয়াকার, হ্যারি ম্যাগুইর, স্টোন অনবদ্য। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ছাড়া এই টুর্নামেন্টে গোল হজম করেনি ইংরেজ রক্ষণ। তাও সেটা ছিল ফ্রিকিক। রাশফোর্ড, জ্যাক গ্রিলিশদের মত তারকা প্রথম দলে জায়গা পাচ্ছেন না।
ইতালির ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা তুলনায় বেশি হলেও গতিতে আজুরিদের চাপে ফেলতে চাইবে সাউথগেটের ছেলেরা। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা লন্ডনের রাস্তায়, অফিসে, মেট্রো স্টেশন এবং পানশালায়। সাহেবরা বলছে ' ইটস কামিং হোম'। ইতালিয়ানরা বলছে ' ইটস কামিং রোম ' । শেষ পর্যন্ত কোথায় যায় ট্রফি তার উত্তর পাওয়া যাবে আর কয়েক ঘন্টা পর।
ইউরো কাপ ফাইনালআজ রাত - ১২:৩০
Published by:Rohan Chowdhury
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।