#কলকাতা: ঠিক যেন যুদ্ধের আবহে চড়ছে সংঘাতের সুর। সাত সকালে শ্রী সিমেন্টের টার্মশিটে সইয়ের পক্ষে পোস্টার, ব্যানার ফেলেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। রাতের অন্ধকারে আবার ঠিক উল্টো ছবি। শ্রী সিমেন্টের চুক্তিপত্রে সই না করার জন্য শাসকগোষ্ঠীর সমর্থনে হোর্ডিং, ব্যানার পড়ল লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে। বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সংঘাতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে লাল-হলুদে।
ইতিমধ্যেই বুধবার বেলা তিনটের সময় লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে জমায়েত করে ক্লাব বাঁচানোর ডাক দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের বিভিন্ন ফ্যানস ফোরাম। অন্যদিকে সমর্থকদের এই জমায়েতকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সকাল থেকেই ক্লাবে ভিড় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের শাসকগোষ্ঠীর কর্তারা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একপক্ষের উদ্দেশ্যে অন্য পক্ষের কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মধ্যে রীতিমতো উত্তেজনার পরশ শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবে। বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চত্বর যে বাদী-বিবাদীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকছে তা উড়িয়ে দিচ্ছে না বটতলা।
ইবিআরপি, ব্যাজদেব, ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাসের মত লাল হলুদের পরিচিত ফ্যানস ফোরামগুলোর পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, কোনও অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা নয়, শান্তিপূর্ণভাবে ক্লাবে গিয়ে শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসে ঠিক কী কারণে বিনিয়োগকারীদের টার্মশিটে সই করা যাচ্ছে না, সেটা জানতে চাওয়া হবে! তবে দুই পক্ষ যে ভাবে তেতে রয়েছে, তাতে বুধবার লেসলি ক্লাডিয়াস সরণির উত্তেজনা চরমে পৌঁছবে, তা বলাই যায়!
শনিবার অর্ঘ্যদীপ সাহা নামে এক সমর্থককে শুধুমাত্র গ্যালারি থেকে ফেসবুক লাইভ করার কারণে যে ভাবে শাসকগোষ্ঠীর আধা কর্তারা ঘিরে ধরে, তাড়া করে ক্লাব থেকে বার করে দিয়েছেন, তারপর দুই শিবিরে সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়েছে বই কমেনি! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন কর্মকর্তা বলছিলেন,"ইস্টবেঙ্গলের সদস্য সংখ্যা খুব বেশি হলে ১৩ থেকে ১৪ হাজার। কিন্তু সমর্থক লক্ষ লক্ষ! সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত করলে তার মাশুল তো শাসকগোষ্ঠীকে গুনতেই হবে।"
এদিকে লাল-হলুদ সদস্য সমর্থকদের এই গৃহযুদ্ধের আবহের মাঝে বিনিয়োগকারীদের টার্মশিটে সই সংক্রান্ত আলোচনা থমকে রয়েছে। ফলে ক্রমশই গভীর থেকে গভীরতর সংকটে শতবর্ষ পেরোনো ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যৎ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bengal