# সাও পাওলো: ফুটবল বড় নিষ্ঠুর ! আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। খ্যাতির শীর্ষে থাকা ফুটবলার সমালোচনার আগুনে জ্বলতে পারেন যে কোনও মুহূর্তে। ২০১৮ বিশ্বকাপে ১৯ বছরের এমবাপ্পের তেজ টের পেয়েছিল সবাই। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। পেলের পর প্রথম কোনো কিশোরের বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের কীর্তি সেটা। নিজের প্রথম ইউরো পুরোপুরি বিপরীত স্বাদ দিল এমবাপ্পেকে।
পুরো টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচ খেলে গোল পাননি কোনো। আজ শেষ ষোলোতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে দলের পঞ্চম শটটি নিতে এসে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। তাঁর এ ব্যর্থতায় ফ্রান্স ছিটকে পড়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কিংবদন্তি পেলেই এগিয়ে এসেছেন। এমবাপ্পেকে সামনে চলার সাহস জুগিয়েছেন। ফেবারিট হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা ফ্রান্স শেষ ষোলোতে পেয়েছিল সুইজারল্যান্ডকে। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও এক পর্যায়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স।
কিন্তু ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২ গোলে এগিয়ে থাকা দলটি ৯০ মিনিট শেষ করেছে ৩-৩ সমতায়। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে পেনাল্টিতে প্রথম নয়জনই নিজের কাজটা করতে পেরেছেন। কিন্তু সবার শেষে পেনাল্টি নিতে যাওয়া এমবাপ্পে ব্যর্থ হয়েছেন। সে ব্যর্থতার পর আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সমালোচনার তির এরই মধ্যে বিঁধছে তাঁকে। কিন্তু পেলে অন্য অনেক সাবেকদের পথে হাঁটেননি। বরং ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিন্ন এক মহাদেশ থেকেও এমবাপ্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
টুইট করে বলেছেন, 'কিলিয়ান, মাথা উঁচু রাখ ! আগামীকাল তোমার নতুন যাত্রার প্রথম দিন।' এমনিতেই এবারের ইউরোতে পারফরম্যান্স ভাল ছিল না এমবাপ্পের। মাঠের বাইরে আলোচনাই বেশি হয়েছে তাঁকে নিয়ে। সতীর্থ অলিভিয়ের জিরু বলেছিলেন, তাঁকে নাকি পাস দিতে চান না এমবাপ্পে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন পিএসজি তারকা। দলে আরও পরিণত খেলোয়াড় থাকার পরও ফ্রি-কিক, কর্নার এমবাপ্পে কেন নিচ্ছেন-এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মাঠে এর জবাব দিতে পারলে আর কথা হত না। কিন্তু করিম বেনজেমা বা আঁতোয়ান গ্রিজমানরা গোল পেলেও চার ম্যাচে একবারও গোলের উদ্যাপন করতে পারেননি এমবাপ্পে। বরং চারটি বড় সুযোগ নষ্ট করেছেন। এই ইউরোতে তাঁর চেয়ে বেশি সুযোগ নষ্ট করেছেন শুধু একজন, স্পেনের আলভারো মোরাতা (৬)। কিন্তু মোরাতা অতিরিক্ত সময়ে দলকে গুরুত্বপূর্ণ এক গোল এনে দিয়ে নিজের পাপ মুছেছেন। এমবাপ্পে সেটা পারেননি। তাই সমালোচনা সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই তাঁর।Keep your head up, Kylian! Tomorrow is the first day of a new journey, @KMbappe.
— Pelé (@Pele) June 28, 2021
অন্তত এটুকু সান্ত্বনা পাচ্ছেন, পেলের মতো একজন তো তাঁর পাশে দাঁড়ালেন। তরুণ ফুটবলার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ড্রেসিংরুমে। কোচ থেকে সতীর্থ সকলেই পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিটদের বিদায় হয়েছে তাঁর একটা ভুলেই। এই বেদনা ভুলতে সময় লাগবে ফরাসি তারকার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020