#গুয়াহাটি: দুরন্ত বাংলা। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে উঠল বাংলা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কর্নাটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল অরুণলালের ছেলেরা। এলিট গ্রুপ B-তে শীর্ষস্থানে থেকেই নকআউটে উঠল বাংলা। গ্রুপ টপ করার ফলে সরাসরি শেষ আটে জায়গা করে নিলেন সুদীপরা।
গ্রুপে রানার্স হলে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হত বাংলা দলকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ বাংলার কাছে ছিল মস্ট উইন। নকআউটে যাওয়ার অন্যতম দাবিদার মুম্বই এদিন সকালের ম্যাচেই বরোদাকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। পৌঁছে যায় বাংলার সমান ১২ পয়েন্টে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী দুটি দলের পয়েন্ট এক হলে মুখোমুখি লড়াইয়ে যে জিতবে সেই দলই পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবে। ফলে কর্নাটকের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেত বাংলা।
আরও পড়ুন- ভারতীয় ক্রিকেটকে কী দিয়ে গেলেন রবি শাস্ত্রী? দেখে নিন সব হিসেব
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১০ রানে হেরেছিল বাংলা। তবে এদিন জয়ের ফলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছলো বাংলা। কর্নাটকেরও ১৬ পয়েন্ট। তবে হেড টু হেড ম্যাচে জয়ের ফলে গ্রুপ সেরা হয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণাটক। একঝাঁক তারকা সমৃদ্ধ কর্নাটকের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করে বাংলার বোলাররা।
প্রথম ওভারেই ভারতীয় ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও আইপিএলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান দেবদত্ত পাড়িক্কলকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ কুমার। মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়ার কিছুটা লড়াই করলেও দলের রান বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে শাহবাজের বলে আউট হন ৩২ রানে। করুণ নায়ার ৪৪ রানে আউট হন।
আরও পড়ুন- এই হয়তো শেষবার! ধোনি নেটে বল করলেন, দেখুন সেই বিরল ভিডিও
এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কর্নাটক দল। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান তোলে কর্ণাটক। ৩ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। আইপিএলে আরসিবিতে বিরাট সতীর্থ শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। আরেক সতীর্থ আকাশদীপ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। প্রদীপ্ত প্রামানিক ২ উইকেট পান।
এদিন বাংলা জার্সিতে অভিষেক হওয়া সুজিত যাদব কোনও উইকেট পাননি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক সুদীপের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। তিন নম্বরে নেমে ভালো শুরু করেও ১৮ রানে আউট হন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলা। তবে বাংলাকে চাপমুক্ত করে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যায় অভিমুন্য ঈশ্বরন-ঋদ্ধিমান সাহা জুটি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে দেন অভিমুন্য। দ্রুত ৩৪ রান করে দলকে জেতাতে সাহায্য করেন কাইফ আহমেদ। ঋদ্ধিমান ২৭ রান করেন। দু ওভার বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেয় বাংলা। নকআউট পর্ব খেলা হবে দিল্লিতে। ১৮ নভেম্বর বাংলার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডের পর ঠিক হবে বাংলার প্রতিপক্ষ। গুয়াহাটিতে গ্রুপ পর্ব শেষ করে মঙ্গলবার রাতেই শহরে ফিরছে বাংলা। বুধবারই আবার দিল্লি উড়ে যাবে বাংলা দল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।