#মেলবোর্ন: ব্রিসবেন এবং অ্যাডিলেডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সপ্তম স্বর্গে অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাস। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ থেকে শুরু করে তরুণ ফাস্ট বোলার ঝাই রিচার্ডসন পর্যন্ত হুংকার দিচ্ছেন বাকি তিনটি টেস্ট জিতে অ্যাশেজ সিরিজ ৫-০ হোয়াইটওয়াশ করার। একমাত্র বাটলার এবং কিছুটা ক্রিস ওকস ছাড়া ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ডাহা ফেল। যে দলে জো রুট, বেন স্টোকসদের মত ক্রিকেটার রয়েছে, সেই দলের এমন দুরাবস্থা কেন?
কারণ খুঁজলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক এবং ম্যাট প্রায়র। এই অ্যাশেজকে ঘিরে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বেশ আগে থেকেই বলে আসছে ইংল্যান্ড। বছর জুড়েই বিভিন্ন সংস্করণে অ্যাশেজের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের ‘রেস্ট অ্যান্ড রোটেশন’ বা ‘ক্রমান্বয়ে বিশ্রাম’ পদ্ধতিতে খেলোনো হয়েছে। যেটা নিয়ে সে সময় সমালোচনাও হয়েছে।
তবে বারবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের জন্য সবাইকে প্রস্তুত রাখার কথা বলা হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে সেসবের প্রতিফলন দেখা যায়নি এখনো। সে প্রসঙ্গ টেনে কুক বলেছেন, ম্যাচ শেষে এখন হয়তো অনেক কিছু বলাই যায়। তবে এই সফরের আগেই ক্রিস সিলভারউডকে আমরা বলতে শুনেছি, আমরা সবচেয়ে ভাল প্রস্তুতি নেওয়া ইংল্যান্ড দল, আমরা এটার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি, আমরা সেটার জন্য, ওটার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
হ্যাঁ, কোভিড পরিস্থিতি বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি বদলে যাওয়া, অথবা (অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে) আবহাওয়ার ব্যাপারগুলো হয়তো হাতে নেই। তবে দুই ম্যাচে সিলভারউডের বলা পরিকল্পনার ছাপ দেখেননি কুক, কিন্তু তারা অ্যাশেজের সবচেয়ে বড় ম্যাচ—প্রথম ম্যাচে, এমন বোলিং আক্রমণ খেলাল, যারা এর আগে কখনো একসঙ্গে খেলেইনি! পরিকল্পনা কোথায় গেল?
আমরা পরিকল্পনার কথা বলছি, তবে সে পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছি না। আর প্রায়র বলছেন, ইংল্যান্ড ছোটখাটো জিনিসগুলোই ঠিকঠাক করতে পারছে না, দুই দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ের পার্থক্য দেখার আগে এটা দেখুন—ইংল্যান্ডের এড়ানো যায় এমন ভুলগুলো। দুই টেস্টে সাতটি ক্যাচ ছাড়া, এটা চরম নেতিবাচক। অনুশীলন করে এসব এড়ানো যায়, এ পর্যায়ে এমন ভুল হওয়া উচিতও নয়।
আবার নো বলে উইকেট নেওয়া, ইংল্যান্ড দলের এতগুলো নো বল করার ব্যাপারটা! অস্ট্রেলিয়ার মতো ভাল না করা, ফুল লেংথে বোলিং না করার মতোই হতাশাজনক এগুলো। তবে মেলবোর্ন টেস্টের আগে ইংল্যান্ড এই ব্যাপারগুলো ঠিক করে নিতে পারে বলছেন দুজনেই। সিরিজে ফিরে আসার ওটাই ইংল্যান্ডের শেষ সুযোগ। ইংল্যান্ড দলে প্রতিভার অভাব নেই।
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তারা ২০১০-১১ সালের পর থেকে অ্যাশেজ জেতেনি ইংল্যান্ড। ট্র্যাক রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ। কিন্তু দেওয়ালে যখন পিঠ থেকে গিয়েছে, তখন মেলবোর্ন থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে চালাবে ইংল্যান্ড বলছেন কুক। দুটি পরিবর্তন করেছে ইংল্যান্ড।
দলে নেওয়া হয়েছে জনি বেয়ারস্টো এবং জ্যাক ক্রলিকে। বাদ গিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, ররি বার্নস। পেসার মার্ক উড এবং স্পিনার জ্যাক লিচকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে। অস্ট্রেলিয়া দলে বাদ রিচার্ডসন। ফিরেছেন প্যাট কামিন্স। বাইরে গিয়েছেন নেসের। তার পরিবর্তে আনা হয়েছে স্কট বলান্ডকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।