Inspirational Story: শারীরিক সীমাবদ্ধতায় দমে যাননি! অসহায় মানুষদের ভরসা হয়ে উঠেছেন সন্তু, যুব প্রজন্মের নতুন অনুপ্রেরণা শালবনির যুবক

Last Updated:

Inspirational Story: সন্তু নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি 'বেস্ট সোশ্যাল ওয়ার্কার' অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। পা বাঁকা, হাঁটতে কষ্ট, তবুও প্রতিদিন তিনি পৌঁছে যান অসহায় মানুষের দরজায়। কষ্ট তাঁকে থামাতে পারে না। তাঁর বিশ্বাস, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।

+
সন্তু

সন্তু দাস

শালবনি, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমানঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি বিধানসভার মেমূল গ্রামে থাকেন সন্তু দাস। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। বাঁকা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হয় আজও। কিন্তু মনের শক্তি? সেই শক্তি পাহাড় ভেদ করতে পারে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সন্তু। সমাজের দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর একমাত্র স্বপ্ন। সমাজের দারিদ্র্য, অসহায়তা এসবকে কাছ থেকে দেখে বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। একদিন তাই নিজের হাতেই তৈরি করেন ‘অনুবন্ধ সেবা উদ্যান’। শারীরিক সীমাবদ্ধতা তাঁকে থামায়নি, বরং পথ দেখিয়েছে অন্যদের।
আরও পড়ুনঃ মানুষ দেখলেই ছুটে এসে কামড়! সীমান্তবর্তী গ্রামে কুকুরের হামলায় জখম ৫০-এর বেশি, ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে এলাকাবাসী
সন্তু আজ সমাজকর্মী, লেখক, গৃহশিক্ষক এবং দেবগ্রাম তপশিলি জাতি শিশু শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক। যে মানুষটি নিজেই বিশেষভাবে সক্ষম, সেই মানুষটাই বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য লড়াই করছেন। এটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পরিচয়। অনুবন্ধ সেবা উদ্যান আজ শুধু একটি সংস্থা নয়, এটি একটি পরিবার, একটি মানববন্ধন। যেখানে প্রতিটি সদস্য সমাজের জন্য সমানতালে কাজ করেন। স্বয়ং সন্তু দাস ৫ বার রক্তদান করেছেন। লক্ষ্য ১০০ বার রক্তদান করা। রাত হোক বা ভোর, যে কোনও সময় রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করে পৌঁছে দেন। প্রয়োজনে ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরে নিজে হাতে রক্ত নিয়ে ছুটে যান মানুষের পাশে।
advertisement
advertisement
সন্তুর নেতৃত্বে এই সংস্থা আজ বস্ত্রদান, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, রক্তদান শিবির, ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সহায়তা, বিশেষভাবে সক্ষমদের ট্রাই-সাইকেল প্রদান সহ নানা সচেতনতামূলক শিবির করছে। তিনি একা নন, অনুবন্ধ পরিবারে আছেন আরও বহু মানুষ, যারা তাঁরই মতো সমাজের সেবায় ব্রতী। তাঁদের সকলের পরিশ্রমেই আজ অনুবন্ধ একটি নির্ভরতার নাম।
সন্তু নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘বেস্ট সোশ্যাল ওয়ার্কার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। পা বাঁকা, হাঁটতে কষ্ট, তবুও প্রতিদিন তিনি পৌঁছে যান অসহায় মানুষের দরজায়। কষ্ট তাঁকে থামাতে পারে না। কারণ সন্তুর বিশ্বাস, বিশেষভাবে সক্ষম হওয়া জীবনে কোনও প্রভাব ফেলে না। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাবা পতিত দাস এবং মা মধুমিতা দাসের আশীর্বাদ নিয়ে সন্তু আজ অনেকের আশ্রয় হয়ে উঠেছেন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য কাজ করতে চান তিনি। মানুষের পাশে থাকা এটাই তাঁর ইচ্ছা, এটাই তাঁর ধর্ম। সকলের উদ্দেশে তিনি একটাই বার্তা দিতে চান, মানববন্ধনে থাকুন, মানুষের পাশে থাকুন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Inspirational Story: শারীরিক সীমাবদ্ধতায় দমে যাননি! অসহায় মানুষদের ভরসা হয়ে উঠেছেন সন্তু, যুব প্রজন্মের নতুন অনুপ্রেরণা শালবনির যুবক
Next Article
advertisement
রাজ্যে আরও পাঁচ স্পেশাল অবজার্ভার, ৫ জেলার SIR কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন পাঁচ সিনিয়র IAS আধিকারিক
রাজ্যে আরও পাঁচ স্পেশাল অবজার্ভার, ৫ জেলার SIR কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন পাঁচ সিনিয়র আধিকারিক
  • নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, বর্ধমান ও মেদিনীপুর ডিভিশনে এসআইআর কাজ পর্যবেক্ষণ করতে পাঁচজন সিনিয়র আইএএস অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে. তারা দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে কর্মরত ছিলেন. এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজ্যে কাজ করবেন.

VIEW MORE
advertisement
advertisement