কুলো থেকে ধামা, হারিয়ে গেছে সব! তবুও কদর কমেনি 'এই' শিল্পের, জানুন কীভাবে এল বদল
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Syed Mijanur Mahaman
Last Updated:
প্লাষ্টিকের রমরমার বাজারে মার খাচ্ছে বেতশিল্প। তবে হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্পের প্রতি বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফেরালেও বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীরা বেছে নিয়েছেন নতুন ধারা।
দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: প্লাষ্টিকের রমরমার বাজারে মার খাচ্ছে বেতশিল্প। তবে হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্পের প্রতি বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফেরালেও বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের দাদপুর গ্রামে আজও পুরোনো দিনের ঐতিহ্য বজায় রয়েছে। প্রাচীন এই শিল্পের টানে এখনও বাঁশ ও বেত দিয়ে ধামা কুলো, চ্যাঙারি, ধুচুনি বুনে চলেছেন শিল্পীরা।
আমরা সবাই এখন প্লাস্টিকের জিনিসের উপর ঝুঁকে পড়েছি। যদিও সেই প্লাষ্টিক ক্ষতি করছে শরীরের। তবে হাজার সমস্যা থাকাতেও, গ্রামবাংলায় আজও টিকে আছে বাঁশের তৈরি কুলো থেকে ধামা চাল ধোয়ার চ্যাঙারি থেকে শুরু করে অনেক কিছু জিনিস। আজও দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে প্রাকৃতিক জিনিস থেকে তৈরি এইসব জিনিসপত্র কিনতে। দাদপুরের অনেক পরিবার এইসব জিনিসপত্র বানিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে। একটা সময় ছিল বাঁশ ও বেত শিল্প ছিল রমরমা। তখন বাঁশ দিয়ে তৈরি হত মাথাল, ওরা, ভার ইত্যাদি যা কৃষিকাজে ব্যবহৃত হত।
advertisement
advertisement
মাছ ধরার চাই, খালুই, জুইতা ইত্যাদি মৎস্যজীবীদের হাতিয়ার। বাঁশের দোচালা, চারচালা ও আটচালা ঘর; বাঁশের বেড়া, ঝাপ, বেলকি, দরমা যা ছিল গ্রাম বাংলার নিজস্ব শিল্প-সংস্কৃতির প্রতীক। আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহৃত বর্শা, ঢাল, লাঠি, তীর, ধনুক ও বল্লম হিসেবে বাঁশের ব্যবহার লক্ষণীয় ছিল। পাল তোলা নৌকা এবং গরুর গাড়ির ছাদ বা ছই নির্মাণ, বাঁশি, লোকবাদ্যযন্ত্র, বাঁশের খেলনা ও পুতুল,আসবাব হিসেবে মোড়া, চাটাই সবেতেই ছিল বেত শিল্প। সব হারিয়ে গেলেও এখন আবার বাঁশের তৈরি আসবাব, ছাইদানি, ফুলদানি, প্রসাধনী বাক্স, ছবির ফ্রেম, আয়নার ফ্রেম, কলম ইত্যাদির চাহিদা বাড়ছে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পীর কন্ঠে উঠে এল দুঃখের কথা। এই বেতশিল্প কুঠির শিল্পের আওতায়। তবে এর জন্য কোনও সরকারি সহযোগিতা তারা পাননি। তা পেলে এই কুঠির শিল্প প্রাণ পেত। কিংবা এককালীন ভাতা হলেও এই শিল্প মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। মায়া জড়ান কন্ঠে তাই শিল্পী জানাচ্ছেন সাইডে আরও কিছু কাজ করতে হয় নাহলে শুধু এইটা করে পেট চালান খুব মুশকিল। বিভিন্ন হাটে বাজারে মেলাতে নিয়ে বিক্রি করেন হাতে তৈরি ধামা, কুলো, চ্যাঙারি, চালনা। বিক্রি বাটা হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন তারা। তবে বাঁশ পাতলা পাতলা করে কেটে নানা ডিজাইন করে বোনাতে প্রচুর কষ্ট হয়। সেই অনুযায়ী তাদের দুর্দশা মেটে না। সবমিলিয়ে হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্পকে বাঁচাতে যদি এখনই রাশ না ধরা হয় তাহলে অকালে হারিয়ে যাবে প্রাচীন এই শিল্প।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Paschim Medinipur,West Bengal
First Published :
October 08, 2025 2:33 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কুলো থেকে ধামা, হারিয়ে গেছে সব! তবুও কদর কমেনি 'এই' শিল্পের, জানুন কীভাবে এল বদল