কাজে লেগে গেল ছোট্ট আইডিয়া, হু হু করে বাড়ছে রাজস্ব! দুর্গাপুরের প্রতাপপুর পঞ্চায়েত নতুন দিশা দেখাচ্ছে অন্যদেরও

Last Updated:

অনুর্বর ও কাঁকুড়ে জমিতেই দেদার ফলছে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, মোসাম্বি, নজির গড়ল প্রতাপপুর পঞ্চায়েত। আয়ের দিশা দেখাচ্ছে অন্যান্যদেরও

+
প্রতাপপুর

প্রতাপপুর পঞ্চায়েত

দুর্গাপুর, দিপীকা সরকার: পঞ্চায়েতের এমন ‘পাইলট প্রজেক্ট’ এর ‘ফল’ই  দিশা দেখাচ্ছে অন্যান্য ব্লকের কৃষকদের। বছরের পর বছর পঞ্চায়েতের রাজস্ব হু হু করে ভরে উঠছে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইলট প্রজেক্টে গড়ে উঠেছে বিশাল ফলের বাগান। আর ওই বাগানের হাজার হাজার গাছের মরশুমি ফল বিক্রি করে আয় করছে পঞ্চায়েত। অনুর্বর ও কাঁকুড়ে জমিতে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, ও মোসাম্বি লেবু  ফলিয়ে নজির গড়েছে প্রতাপপুর পঞ্চায়েত।
পঞ্চায়েতের এমন পাইলট প্রজেক্ট সফল হওয়ায় অন্যান্য পঞ্চায়েতও আয়ের দিশা দেখছে। ওই পঞ্চায়েতের দাবি, প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অধিকাংশ জমিই অনুর্বর ও কাঁকুড়ে। অধিকাংশ জমিতেই কেবল লাল মোরাম রয়েছে। এই বন্ধ্যা জমি  চাষবাসের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়। আবার ওই পঞ্চায়েতের আয়ও কম। জনগণকে পরিষেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়। আয়ের আশায় ২০১৪ সালে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে  বড়গড়িয়া এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ফলচাষের ওপর ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ নেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের ওই পঞ্চায়েত প্রায় ১০ বিঘা কাঁকুড়ে জমিতে শুরু হয় ফলের গাছ রোপণ। নানা প্রজাতির প্রায় ২০০০ আম গাছ লাগান হয়। ১০০ টি কাঁঠাল, ১০০ টি আমলকী, ১০০ টি পেয়ারা ও প্রায় ৬০ কলাগাছ  সহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ২০০ টি মোসাম্বি সহ নানা প্রজাতির লেবু গাছ। ফলের মরশুমে প্রায় ২০ কুইন্ট্যালের অধিক আমের ফলন হয়। কাঁঠাল, পেয়ারা ও লেবু সহ প্রায় ২০ কুইন্ট্যাল ফলন হয়। ওই সমস্ত ফল স্থানীয় হাটবাজারে বাজারজাত করা হয়।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাছগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। কঠোর পরিশ্রম পরিচর্যার পর এখন প্রতিটি গাছ ফলন দিতে শুরু করেছে। ওই বাগানের গাছ পরিচর্যা করে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বেকার যুবক রোজগারও করছেন। বাগানের কর্মী সুজয় পাল জানান, “কাঁকুড়ে জমি উর্বর করতে বহু কসরত করতে হয়েছে। এই মাটিতে গাছ তৈরি করা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল একসময়। কঠোর পরিশ্রমের পরে প্রতিটি গাছে ফলন শুরু হয়েছে।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কাজে লেগে গেল ছোট্ট আইডিয়া, হু হু করে বাড়ছে রাজস্ব! দুর্গাপুরের প্রতাপপুর পঞ্চায়েত নতুন দিশা দেখাচ্ছে অন্যদেরও
Next Article
advertisement
Jemimah Rodrigues: ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’ ফাইনালে উঠে আবেগ্রপ্রবণ জেমাইমা
‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’: জেমাইমা
  • ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি’

  • স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...

  • অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আবেগপ্রবণ জেমাইমা

VIEW MORE
advertisement
advertisement