Burnpur Industrial Township: আগাছায় ঢেকেছে প্রাচীন গরিমা, বিশ্বকর্মা পুজো এলেই ভারাক্রান্ত মনে ভিজে যায় চোখের কোণ

Last Updated:

Burnpur Industrial Township: ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কামানের খোল তৈরি হয়েছিল এই কারখানা থেকে। এমনকি হাওড়া ব্রিজ বিদ্যাসাগর সেতুর বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হয়েছিল। 

+
বন্ধ

বন্ধ কারখানা 

আসানসোল, রিন্টু পাঁজা : দুর্গা পুজোর ঠিক আগে ভাদ্র মাসে শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো হয়। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই হচ্ছে বাঙালির কাছে এক আনন্দের দিন। চলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, আড্ডা গল্প থেকে শুরু করে ঘুড়ি ওড়ানো আরও কত কী। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। কিন্তু সেই আনন্দের জৌলুস এখন আর নেই এই জায়গায়। বিশ্বকর্মা পুজো আসলে একরাশ বিষাদ গ্রাস করে চোখে কোনে জল নেমে আসে কর্মীদের মধ্যে। একটা সময় এই বিশ্বকর্মা পুজো এলেই কর্মীদের মধ্যে দেখা যেত ব্যস্ততা। রীতিমতো এক মাস আগে থেকে তার প্রস্তুতি শুরু হত। প্রায় ৭৪টি বিভাগের ৭৪ টি প্রতিমা হত। কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর সেই জৌলুস নেই, হয় না প্রতিমা। তাই প্রত্যেক বছর বিশ্বকর্মা পুজো আসলে বার্নপুরের এই সংস্থার কর্মীদের মনের মধ্যে গ্রাস করে বিষাদের সুর।
বানপুর বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন কর্মী আশিস বাগ জানিয়েছেন “ বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে দাঁড়িয়ে যারা কর্মী ছিলাম তাদের খুব কষ্টের দিন। চোখের জলে এই কারখানায় ঢুকেছিলাম তার কারণ বাবার মৃত্যুর পরে সেই কোটায় আমি এখানে চাকরিতে জয়েন করি। তারপরে সেই চোখের জল নিয়েই আবার এই কারখানা থেকে ফিরতে হয়। একটা সময় এ কারখানায় সাইকেল নিয়ে শ্রমিকেরা লাইন ধরে আসতেন”। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি লিমিটেড বার্নপুরে ১৯১৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এখানে রেলের বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করা হত। এমনকি ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কামানের খোলও তৈরি করা হয়েছিল। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে বিদ্যাসাগর সেতু, বালি ব্রিজ, মেট্রো রেল ও রেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা হয়েছিল এই কারখানা থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : বেতন বৃদ্ধি! প্রোমোশন! ভাদ্র সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পুজোয় শুক্র গোচরে ভাগ্যের দরজা খুলে মালামাল এই ৩ রাশি
সেই সময় কারখানায় শ্রমিকদের পায়ের শব্দ ও কণ্ঠস্বরে গমগম করত এলাকা। হত ধুমধামের সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো। যা একটা উৎসবের আবহাওয়ার চেহারা নিত। প্রায় ৭৪ টি বিভাগে ৭৪টি প্রতিমা তৈরি হত। রীতিমতো একটি প্রতিযোগিতা হত। থাকত বিরাট খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। বেশ চলছিল। কিন্তু আচমকাই নেমে এল এক এমনই ছায়া যাতে কর্মীদের হৃদয়ের পাঁজরটা ভেঙে গেল। ২০১৮ সালে কোনও এক কারণে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
advertisement
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর হয় না বিশ্বকর্মা পুজো। তাই পুজো আসলে কর্মীদের মধ্যে সেই দিনের স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজও নেমে আসে চোখের কোণে জল। একরাশ বিষাদ নিয়ে থাকেন তাঁরা। তবে আগামী দিনে কি এখানে ফের হবে বিশ্বকর্মা পুজো? সেই আশায় এখনও প্রহর গুনছেন কর্মীরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Burnpur Industrial Township: আগাছায় ঢেকেছে প্রাচীন গরিমা, বিশ্বকর্মা পুজো এলেই ভারাক্রান্ত মনে ভিজে যায় চোখের কোণ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement