হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
স্বামী-ছেলের নামে ক্ষতিপূরণ! আমফান দুর্নীতিতে বিপাকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

স্বামী-ছেলের নামে ক্ষতিপূরণ! আমফান দুর্নীতিতে বিপাকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’

  • Share this:

#কাকদ্বীপ: আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। এমনকি ক্ষতিপূরণের তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী আসান আলি মোল্লা ও ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা-সহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম রয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। অথচ নেতাজিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনগর গ্রামের পূর্বপাড়ায় পাকা বাড়ি রয়েছে সভাপতির। তা সত্ত্বেও কীভাবে ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম উঠল মমতাজ বেগমের স্বামী ও ছেলে-সহ পরিবারের একাধিক সদস্যদের, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

এক্ষেত্রে বিরোধীদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে গোপনে আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করেছেন শাসক দলের নেতারা। এই তালিকা আগামী দিনে প্রকাশ্যে চলে আসবে, তা ভেবে উঠতে পারেননি শাসকদলের নেতা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। আর তাই টাকা পাওয়ার লোভে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নিজেদের পরিবারের লোকজনের নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং সরকারি অনুদানের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে কাকদ্বীপের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার জানান, ‘তদন্ত কমিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে ক্ষতিপূরণের তালিকা খতিয়ে দেখেছে। সভাপতি মমতাজ মোল্লা একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন কাকদ্বীপের বিডিও-এর কাছে। সেই আবেদনে নাকি জানানো হয়েছে, যদি তাঁর স্বামী আত্মীয়দের নাম তালিকাতে থাকে, তাহলে সেই নামগুলি বাদ দেওয়া হোক।

যদিও কাকদ্বীপের বিডিও এবং অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান মমতাজের কথার মধ্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। মমতাজ ফোনে বলেন, তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দিয়েছেন। বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন, নগদ টাকা জমা নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই তাঁর অফিসে।  তবে সভাপতি যে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, সেটা প্রমাণিত।

শুধু কাকদ্বীপ নয়, নামখানা পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র বিরুদ্ধেও আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এই অভিযোগে নামখানার পঞ্চায়েত সমিতির সামনে বিজেপি ও সিপিএমের কর্মীরা বিক্ষোভও দেখান। রাজ্যের অনেক জায়গাতেই একইভাবে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বেশ কিছু ক্ষেত্রে দল কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে৷ অন্যায্যভাবে যাতে কেউ ক্ষতিপূরণের টাকা না পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

SHANKU SANTRA

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Amphan, Amphan Corruption, Kakdwip, South 24 Parganas, TMC