সংসারের হাল ধরতে হাতে নিয়েছেন টোটোর স্টিয়ারিং! কখনও সবজি বেচে, কখনও মাছ... মহিলার সংগ্রামের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও

Last Updated:

ভোর থেকে রাত পর্যন্ত টোটো চালান এই মহিলার সংগ্রামের কাহিনি চোখে জল আনবে। 

+
ঝরনা

ঝরনা শী 

রামনগর, মদন মাইতি: দিঘার কাছে রামনগরের কাদুয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ঝর্না শী। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লড়াই করে সংসার চালান এই সংগ্রামী নারীর গল্প যে কারও চোখে জল এনে দেবে। কখনও টোটো চালান, কখনও সবজি, কখনও মাছ বিক্রি, কখনও আবার সাইকেলে করে ফেরি— জীবনের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে প্রতিদিন যুদ্ধ করেই চলছে তাঁর দিনযাপন। স্বামীর অসুস্থতার পর সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব যখন একাই তাঁর কাঁধে এসে পড়ে, তখন তিনি হাল না ছেড়ে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে কাজ শুরু করেন।
নিজের পরিবারের মুখে দু’বেলা অন্ন তুলে দিতে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন ঝর্না দেবী। স্বামী আশিষ শী একসময় দিনমজুরের কাজ করতেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হওয়ার পর তিনি আর শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন না। ফলে সংসারের আর্থিক ভার সম্পূর্ণটাই এসে পড়ে ঝর্না দেবীর উপর। বিয়ের মাত্র দুই বছর পরই বদলে যায় সংসারের সব চিত্র। একদিকে সামান্য উপার্জন, অন্যদিকে সংসারের ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব— সব মিলিয়ে তখন শুরু হয় তাঁর সংগ্রামের পথচলা। কখনও সবজি বিক্রি, কখনও মাছের ব্যবসা, তো কখনও সাইকেলে ঘুরে ঘুরে ফেরি করে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করেছেন তিনি। এক মুহূর্তও থেমে না থেকে প্রতিদিন যে ভাবে কাজে বেরিয়েছেন, তা তাঁর অদম্য মনোবলেরই প্রমাণ। বর্তমানে ঝর্না দেবী টোটো চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন।
advertisement
advertisement
সকালে ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। টোটোর সামনের সিটেই বসে থাকে মেয়ে, আর তিনি যাত্রী তোলা-নামানো, স্কুল-অফিস যাতায়াত করা মানুষদের পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন মন দিয়ে। দিঘা–রামনগর এলাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়লে যাত্রীও বাড়ে, তবে সারা দিন ঘুরে বেড়ান এবং কাজের চাপ সামলান তাঁর জন্য সহজ নয়। বড় মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, তাই তাকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে হয়। আর ছোট মেয়েকে নিয়েই তাঁর প্রতিদিনের পথচলা। সংসার, সন্তান, কাজ— একসঙ্গে সামলে ঝরনা দেবী আজ দাঁড়িয়ে আছেন নিজের শক্তিতে।
advertisement
দিঘার সমুদ্রসৈকতে যখন প্রতিদিন পর্যটকদের ভিড়ে চারদিকে আনন্দ আর উল্লাস ছড়িয়ে থাকে, তখন ঠিক তার পাশেই ঝরনা দেবীর জীবন লড়াইয়ে ভরা। তবুও মুখে হাসি রেখেই তিনি এগিয়ে চলেন। জীবনের কঠিন পরিস্থিতিকে জয় করে তিনি প্রমাণ করেছেন— সাহস আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে নারী নিজেই হয়ে উঠতে পারেন পরিবারের একমাত্র ভরসা।
শুধু তাঁর পরিবারই নয়, সমাজের অসংখ্য মানুষের কাছে ঝর্না শী আজ এক অনুপ্রেরণা। তাঁর জীবনসংগ্রাম দেখিয়ে দেয়, প্রতিকূলতা যতই আসুক, নিজের চেষ্টা আর সাহস থাকলে পথ খুঁজে নিতেই পারে মানুষ। ঝরনা দেবীর এই লড়াকু মানসিকতা সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সংসারের হাল ধরতে হাতে নিয়েছেন টোটোর স্টিয়ারিং! কখনও সবজি বেচে, কখনও মাছ... মহিলার সংগ্রামের গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও
Next Article
advertisement
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ভোরে আগুন লাগে, ২৪টি দমকল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে আনে.

  • দাহ্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ল্যাডার ব্যবহার সম্ভব হয়নি.

  • প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হলেও, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুনের উৎস নিশ্চিত হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement