ফার্স্ট হবে ক্লাসে! সন্তানকে সব সময়ে 'এক নম্বরে' দেখতে চাইলে শেখান কিছু অভ্যাস, জানুন কোনগুলো
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলা, সময়মতো ওঠা, সকালে সামান্য রিভিশন করা, নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা, পড়ার জায়গা গোছানো রাখা, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখা, প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং দৈনিক ধ্যান—এইসব অভ্যাস শুধু মনোযোগ বাড়ায় না, বরং শিশুকে আত্মনির্ভর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও পড়াশোনায় স্থির হতে সাহায্য করে।
advertisement
নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলা, সময়মতো ওঠা, সকালে সামান্য রিভিশন করা, নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা, পড়ার জায়গা গোছানো রাখা, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখা, প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং দৈনিক ধ্যান—এইসব অভ্যাস শুধু মনোযোগ বাড়ায় না, বরং শিশুকে আত্মনির্ভর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও পড়াশোনায় স্থির হতে সাহায্য করে। (Representative Image:AI)
advertisement
নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলা, সময়মতো ওঠা, সকালে সামান্য রিভিশন করা, নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা, পড়ার জায়গা গোছানো রাখা, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখা, প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং দৈনিক ধ্যান—এইসব অভ্যাস শুধু মনোযোগ বাড়ায় না, বরং শিশুকে আত্মনির্ভর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও পড়াশোনায় স্থির হতে সাহায্য করে। (Representative Image:AI)
advertisement
শুধু স্কুলের পড়াশোনা নয়, শিশুদের দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং অভ্যাসও তাঁদের শিক্ষাগত উন্নতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ইতিবাচক অভ্যাস শিশুকে আত্মনির্ভর, মনোযোগী এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ করে তোলে, ফলে পড়াশোনা তাদের কাছে বোঝা হয়ে ওঠে না, বরং নিয়মের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। বাবা-মায়েরা যদি শুরু থেকেই সন্তানের দৈনিক অভ্যাসগুলির দিকে নজর দেন, তাহলে শুধু শিক্ষাগত উন্নতিই নয়, মানসিক, সামাজিক এবং আবেগগত বিকাশও আরও শক্তিশালী হয়। (Representative Image:AI)
advertisement
সময়মতো ঘুমনো ও উঠা শিশুদের মস্তিষ্ক সতেজ রাখে এবং প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া ও ওঠার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রিত থাকে। সকালে মাত্র পনেরো মিনিটের রিভিশন মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে এবং আগের শেখা বিষয়গুলি সহজে মনে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সেই সময়ে তাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে পড়ার মোডে চলে আসে এবং দেরি করার প্রবণতা কমে। (Representative Image:AI)
advertisement
পড়ার স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গোছানো থাকা মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। বই, খাতা, স্টেশনারি এবং সময়সূচি আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে পড়াশোনা সহজ হয়। প্রতিদিন নতুন একটি শব্দ বা তথ্য শিখলে শব্দভাণ্ডার বাড়ে এবং পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া তৈরি হয়। এর ফলে ভাষা, বিজ্ঞান এবং সামাজিক শিক্ষার দক্ষতাও উন্নত হয়। সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত স্ক্রিন টাইম শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং সেই সময়ের কিছু অংশ শিক্ষামূলক ভিডিও বা তথ্যচিত্রে ব্যয় করা হলে স্ক্রিনও শেখার একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে। (Representative Image:AI)
advertisement
শিশুকে শেখাতে হবে, প্রশ্ন করা দুর্বলতার লক্ষণ নয় বরং বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ। প্রশ্ন করার অভ্যাস তাদের বোঝাপড়া বাড়ায় এবং আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিটের ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সহজ অনুশীলন শিশুদের মানসিক ভারসাম্য এবং মনোযোগ উন্নত করে। এই অভ্যাসগুলি ধীরে ধীরে দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শুধু পড়াশোনার গ্রাফই উপরে উঠবে না, বরং শিশুরা আরও সুগঠিত, স্থির ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বড় হয়ে উঠবে। (Representative Image:AI)
advertisement
শিশুমনোবিজ্ঞানী ড. অরিন্দম চক্রবর্তীর মতে, ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস গঠনই ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবনের ভিত তৈরি করে। তাঁর বক্তব্য, “মানুষের মস্তিষ্ক শৈশবেই সবচেয়ে বেশি নমনীয় থাকে। এই সময়েই যত বেশি ভাল অভ্যাস গড়ে ওঠে—যেমন নির্দিষ্ট রুটিন, নিয়মিত রিভিশন, সীমিত স্ক্রিন টাইম, মনোযোগ ধরে রাখার অনুশীলন—শিশুর আত্মনিয়ন্ত্রণ ও একাডেমিক পারফরম্যান্স ততই উন্নত হয়।” তিনি আরও বলেন, “পড়াশোনাকে ভয় বা চাপের জায়গা থেকে নয়, বরং রোজকার জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করানোই বাবা-মায়ের প্রধান দায়িত্ব।”
