হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় আলু! এই চড়া দামের কারণ কী, জানুন এখনই

Potato Price Hike:৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় আলু! এই চড়া দামের কারণ কী, জানুন এখনই

অনেক চাষিই মোটা টাকা খরচ করে জমি ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন

অনেক চাষিই মোটা টাকা খরচ করে জমি ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন

Potato Price Hike: আলুর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা

  • Share this:

পূর্ব বর্ধমান : এখন মাঠে ৩৫০ টাকা বস্তা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। দাম কিছুটা বাড়লেও তাতে খুশি দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, এই দামে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, লোকসানও সামাল দেওয়া যাবে না। শুরুতে মাঠে আলুর দাম ছিল না। আড়াইশো টাকা বস্তা দরে মাঠ থেকে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে এ বার। সেই দাম,এখন বেড়ে ৩৫০ টাকা হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, মাঠে এখন ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৩৫০ টাকা। এবার ফলন কম হয়েছে। এবার ব্যাপক ফলন হবে বলে কৃষি দফতর, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, সে কারণেই প্রথমে মাঠে এমন আরও দাম ছিল না। কিন্তু ফসল তুলতে গিয়ে দেখা যায় উৎপাদন অনেক কম। উৎপাদন কম হওয়ায় পরবর্তী সময়ে দাম মিলবে এই আশায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই হিমঘরে আলু মজুদ করতে মাঠে নেমেছেন তাতেই কিছুটা বেড়েছে আলুর দাম।

অনেক চাষিই মোটা টাকা খরচ করে জমি ভাগে নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। অনেকের আবার মহাজনের কাছে আলু বীজ, সারের দাম বাকি পড়ে রয়েছে। তাঁরা বলছেন, " আলু হিমঘরে মজুত করার সামর্থ্য নেই অনেকেরই। জমি থেকেই আলু বিক্রি করে ধার দেনা শোধ করার কথা ভাবতে হচ্ছে অনেককেই। তাই আলুর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। লোকসান হবে বুঝেও আলুর অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ছোট চাষিদের অনেককেই।"

আরও পড়ুন :  গান দিয়ে ঢেকেছিলেন অসুখী দাম্পত্য ও বিয়ে ভাঙার ক্ষত, ক্যানসারের কাছে হার মানেন ডিস্কো দিওয়ানের গায়িকা নাজিয়া হাসান

রাজ্যে অন্যতম আলু উৎপাদক জেলা পূর্ব বর্ধমান। এই জেলায় প্রায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। বেশির ভাগ চাষি জমিতে জ্যোতি আলু চাষ করেন । কৃষি দফতরের হিসাবে, এ বার প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। বেশ কয়েক বছর পরে এ বার আলু চাষের গোটা মরসুম জুড়ে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি। ঠান্ডা ও ঝলমলে আবহাওয়ায় আলু গাছে বিশেষ রোগপোকাও দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের থেকে ফলন বাড়বে বলে চাষিদের অনেকেই আশা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, প্রত্যাশা মতো ফলন মেলেনি। বিঘা প্রতি জমিতে ফলন মেলে ৮০- ৯০ বস্তা। কালনা, মেমারি, জামালপুরের মতো কিছু এলাকায় ফলন আরো বেশি মেলে। এ বার সেখানে কোথাও ৬০-৬৫ বস্তা ফলন মিলছে বলে অভিযোগ।

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Potato, Potato price