#বর্ধমান: তিন মাসের মধ্যে রেল স্টেশনের ফলস সিলিং বৃষ্টির জল পেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে তা আগেই কেন বুঝে উঠতে পারেননি রেলের ইঞ্জিনিয়াররা! এমন প্রশ্নই তুলছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। এজন্য রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন স্হানীয়রা। বার বার ঠিকাদারদের টাকা পাইয়ে দিতেই কী কাজে নিম্নমানের সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই। যদিও এ ব্যাপারে বর্ধমান রেল স্টেশনের রেলের আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি।
ইতিমধ্যেই খুলে ফেলা হয়েছে বর্ধমান স্টেশনের পোর্টিকোর ফলস সিলিং। জিপসাম বোর্ডের বদলে সেখানে লাগানো হয়েছে পিভিসি বোর্ড। এই বোর্ডের ফলস সিলিং অনেক জুতসই হবে বলে মনে করছেন নির্মাণের কাজে যুক্ত ঠিকাকর্মীরা। জল পেলেও তাতে বিশেষ ক্ষতি হবে না বলে তাঁরা মনে করছেন। তাঁরা বলেন, বৃষ্টির জল পেয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফলস সিলিংয়ের জিপসাম বোর্ড। সেজন্যই ফলস সিলিং বদলে ফেলা হল।
এখানেই প্রশ্ন বাসিন্দাদের। বৃষ্টি হলে যে জল পেয়ে ভঙ্গুর হয়ে যাবে ফলস সিলিংয়ের জিপসাম বোর্ড তা রেলের ইঞ্জিনিয়াররা পরিকল্পনার সময় বুঝতে পারলেন না কেন সেই প্রশ্নই তুলছেন অনেকেই। বহু টাকা খরচ করে সংস্কারের তিনমাসের মধ্যেই ফলস সিলিং পাল্টে ফেলতে হবে কেন তার জবাব চাইছেন তাঁরা।
সংস্কার চলাকালীন ৪ জানুয়ারি রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের বিল্ডিংয়ের পোর্টিকো সহ একাংশ। তাতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হন একজন। তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক শোরগোল হয়। এই প্রাচীন বিল্ডিং আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দেয় রেল। দু মাসের মধ্যেই শেষ করা হয় ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সংস্কারের পর বিল্ডিং সহ স্টেশনের মূল প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়। তারপর তিন মাস পার হতে না হতেই ভেঙে পড়ে পোর্টিকোর ফলস সিলিংয়ের কিছু অংশ। তাতে আহত হন এক পরিযায়ী শ্রমিক। আতংকিত হয়ে পড়েন বাকিরাও।
জল ঢুকে ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল ফলস সিলিংয়ের বাকি অংশও। ফাটল দেখা দিয়েছিল বাকি এলাকাগুলিতেও। আবার ফলস সিলিং ধসে পড়বে এই আশংকা থেকেই তা বদলে ফেলার বরাত দেয় রেল। সেই মতো বদলে ফেলা হল ফলস সিলিং। প্রথমেই পিভিসি পাইপ বা অন্য কিছু দিয়ে ভালোভাবে পোর্টিকো সংস্কার না করে তড়িঘড়ি সে কাজ কেন করা হয়েছিল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।