#পূর্ব বর্ধমান: তাদের কারও বয়স পঁয়ষট্টি, কারও পঁচাত্তর কিংবা আশি। সকাল থেকে অপেক্ষা করে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ব্যাঙ্কের সামনে। ব্যাঙ্কে খুললে পেনশনের টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন সেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। ব্যাঙ্কে খুলেছিল ঠিক সময়েই। তারপরও বেশ কিছুক্ষণের অপেক্ষার পর জানিয়ে দেওয়া হয় পেনশনের টাকা আজ মিলবে না। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেইসব সিনিয়র সিটিজেনরা। একজোট হয়ে ব্যাঙ্কের সামনে পথ অবরোধ করলেন তাঁরা । রাস্তায় বসে বিরক্তিতে বিক্ষোভ দেখালেন । অসুস্থতা ভুলে স্লোগানও দিলেন কেউ কেউ। পূর্ব বর্ধমানে স্টেট ব্যাঙ্কের কালনা শাখার সামনে সোমবার এই ঘটনা ঘটল।
তাঁদের সকলেই রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পেনশনের টাকাটুকুই সংসার চালানোর একমাত্র ভরসা অনেকের। তাতেই কেনা হয় প্রয়োজনের ওষুধ, সংসারের প্রয়োজনীয় টুকিটাকি। প্রাপ্য সেই পেনশনের টাকা হাতে পেতে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেইসব পেনশনপ্রাপ্ত সিনিয়র সিটিজেনরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেজারি টাকা ছেড়ে দিলেও ব্যাঙ্কের গরিমষিতেই সেই টাকা হাতে আসতে হয়রান হয়ে যেতে হয়। সোমবার জানিয়ে দেওয়া হলো টাকা দেওয়া যাবে না। এমনটা এই শাখায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে। লাইফ সার্টিফিকেট পেতেও হয়রান হতে হয়। তারই প্রতিবাদে পথে বসতে বাধ্য হয়েছি আমরা।
তাঁরা পাশে পান কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগকেও। দেবপ্রসাদ বাবু বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের কর্মী আধিকারিকরা আমানতকারীদের মানুষ বলে মনে করেন না অনেক সময় ন্যূনতম পরিষেবাও এখানে মেলে না। তাই পৌরসভার মাধ্যমে সরকারি সুবিধা প্রাপকদের অনেকেরই অ্যাকাউন্ট এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ব্যাঙ্কে থেকে পেনশন অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা পেনশন প্রাপক এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছি। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে পৌরসভার ঘরে আলোচনায় বসা হবে।
যদিও ব্যাঙ্কের তরফ থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ওই শাখার ম্যানেজার জানান,টাকা এলেই সেই পরিষেবা পেনশন প্রাপকরা পাবেন। সেজন্য তাদের জন্য টোকেনও ইস্যু করা হয়েছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Burdawan, Pension, Pensioner, Protest