#পূর্ব মেদিনীপুর: অমানবিকতার চূড়ান্ত ছবি! অমানবিকতার শিকার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে সমালোচনার ঝড়৷ মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম বৃদ্ধা রেললাইনের উপর পড়ে থেকে কাতরাতে থাকলেন প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময়৷ রেললাইনে পড়ে থাকা ৭০ বছরের আহত বৃদ্ধাকে কাতরাতে দেখেও পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধারে যেমন এগিয়ে আসেনি, তেমনই তাঁর মুখে সামান্য জল টুকুও তুলে দেয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ অনেক পরে খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক উদ্যোগী হয়ে আহত বৃদ্ধাকে রেললাইনের উপর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে এক হাসপাতাল থেকে তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তমলুক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের৷
আরও পড়ুন Medical News| Kolkata: স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষায় বেসরকারীকরণের তীব্র প্রতিবাদ, মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলার ষষ্ঠ সম্মেলনহলদিয়া পাঁশকুড়া রেলপথের মহিষাদল স্টেশন লাগোয়া বাসুলিয়ায় রবিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা। তাঁর নাম মাধবী দাস। আহত অবস্থায় রেললাইনের উপরই তিনি পড়ে থাকেন প্রায় এক ঘণ্টা। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমালেও বৃদ্ধার চিকিতসার জন্য, তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর কেউ উদ্যোগ নেননি। এমনকি আহত মাধবীদেবী পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে এসে তাঁর মুখে জলটুকুও তুলে দেয়নি। এমন অভিযোগ৷ অমানবিকতার এই ছবি রবিবার দেখা যায় মহিষাদলে। মহিষাদলের সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনের কাছে মালগাড়ির ধাক্কায় মাধবী দাস নামে ৭০ বছরের বৃদ্ধা গুরুতর জখম হন।
অভিযোগ, স্থানীয় মানুষজন ভিড় করলেও প্রাথমিক শ্রুশুষা করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়নি কেউ। দীর্ঘ সময় হাত না লাগানোয় বৃদ্ধার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠে। অমানবিকতার এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আহত বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় জখম রোগীর সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে না আসায় প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। কীভাবে মানুষ এমন অমানবিক হতে পারে তা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Death, East Midnapore