Old Man: নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন! প্রাণ ফিরেও বাড়ি ফিরতে নারাজ বৃদ্ধ

Last Updated:

বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার পরে অবশেষে সুস্থ হয়েছেন ৭০ বছরের সন্ন্যাসী কর্মকার। আত্মীয়দের কাছে ফিরতে চাইলেও একমাত্র ছেলের কাছে ফিরতে চান না তিনি।

+
বৃদ্ধ

বৃদ্ধ কথা বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে

সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার পরে অবশেষে সুস্থ হয়েছেন ৭০ বছরের সন্ন্যাসী কর্মকার। আত্মীয়দের কাছে ফিরতে চাইলেও একমাত্র ছেলের কাছে ফিরতে চান না তিনি। ছেলের আর তাঁর স্ত্রীর হাতে আর অত্যাচারিত হতে চান না। কিন্তু, ভাগ্যের এমনই পরিহাস, আত্মীয়রাও বৃদ্ধের ছেলের ভয়ে নিজের বাসস্থান থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। তাই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই বৃদ্ধর দাবি হোমে পাঠানো হোক তাঁকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনেই হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করছেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে সন্ন্যাসীবাবুর চিঠি পাওয়া গিয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে উনি হোমে ফিরতে চান। তারপরই দ্রুত তাঁকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ প্রশাসনকেও জানান হবে সব। ইতিমধ্যেই নিজের সহধর্মিণীকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সন্ন্যাসীবাবু। শুধু একটা কথাই তিনি জানান, হোমে তাঁকে পাঠিয়ে বাকি জীবন বাঁচতে দিন। তিনি ছেলের কাছে যেতে চান না।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যায় অভাবের তাড়নায় বারুইপুর স্টেশনে এসে বিষ কিনে খেয়ে নিয়েছিলেন ৭০ বছরের সন্ন্যাসী কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী ৬৫ বছরের ঝর্ণা কর্মকার। স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়লে বারুইপুর জি আর পি তাঁদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রাতে মারা যান স্ত্রী ঝর্ণা কর্মকার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রথমে তিনি তাঁর বাড়ি ডায়মন্ডহারবার বললেও পরে তাঁর এক পরিচিত যুবকের সূত্র ধরে জানা যায় তাঁর বাড়ি গড়িয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর এক ছেলেও আছে। সে বাইপাসের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে কর্মরত।গড়িয়ার বাড়িতেই ফ্যান সারানোর কাজ করতেন সন্ন্যাসীবাবু। সেই বাড়ি জোর করে বিক্রি করে দিয়ে, মারধর করে সন্ন্যাসীবাবু ও তাঁর স্ত্রী কে বার করে দেয় তাঁর ছেলে ও তাঁর স্ত্রী। টাকা পয়সাও কেড়ে নেওয়া হয়।
advertisement
এই ঘটনার পরে ওই দম্পতি নবদ্বীপে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে ৫ মাস কাটানোর পরে অভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে বারুইপুর স্টেশনে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দম্পতি। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় থেকেই সন্ন্যাসীবাবুকে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরাই চেষ্টা করে সন্ন্যাসীবাবুর পরিবারে ভাগ্নের খোঁজ পায়। ছেলের নাম জানলেও ছেলে কোথায় থাকে জানেন না সন্ন্যাসীবাবু। ছেলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ সন্ন্যাসী কর্মকার। এখন তিনি তাকিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে। কবে হোমে পাঠাবে তাঁরা। হাসপাতালের ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সন্ন্যাসীবাবু। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে সাধুবাদ জানান তিনি।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Old Man: নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন! প্রাণ ফিরেও বাড়ি ফিরতে নারাজ বৃদ্ধ
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
  • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

  • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

  • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

VIEW MORE
advertisement
advertisement