#মেদিনীপুর: ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস নাম তুলে কামাল করেদিল আরাত্রিকা ঘোষ ৷ মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়স তার৷ এরই মধ্যে বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতে ৫০ টি কবিতা অনায়াসে না দেখে বলতে পারে সে। শুধু তাই নয় লাইনগুলি বলার সাথে স্পষ্ট অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে সে। এখানেই শেষ নয় রবীন্দ্রসঙ্গীত, লোকসংগীত, প্রার্থনা সংগীত, আধুনিক গান সহ ২০ টি গান গাইতে পারে আরাত্রিকা। আর এই প্রতিভারই স্বীকৃতি পেল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস৷
এই সংস্থাতে সব কিছু প্রমাণ সহ আবেদন করার পরে ১৫ মে ইমেলে তারা সুনিশ্চিত করে আরাত্রিকার পুরস্কার। সংস্থার তরফ থেকে আরাত্রিকার বাবা শুভঙ্কর ঘোষকে জানানো হয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর তরফ থেকে তার মেয়ের নাম নির্বাচিত হয়েছে। ১৯ এ জুন শনিবার কুরিয়ার মারফত আরাত্রিকার বাড়িতে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস পুরস্কার আসে৷ পুরস্কারের তালিকা রয়েছে সোনার মেডেল, ব্যাজ, সুদৃশ্য কলম, শংসাপত্র এবং ওই সংস্থার লোগোসহ কার স্টিকার।
আরাত্রিকার বাবা শুভঙ্কর ঘোষ চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুলের শিক্ষক৷ মা গৃহবধূ৷ শুভঙ্করবাবুর বলেন, আরাত্রিকার বয়স যখন ২ বছর তখন তার প্রখর স্মৃতিশক্তি বুঝতে পারবেন তারা৷ দুই বছর বয়স থেকেই মঞ্চে আরাত্রিকা আবৃত্তি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করত। আরাত্রিকা মা তনুশ্রী ঘোষ বলেন, তার মেয়ের স্মৃতিশক্তি তুখড়৷ সব জিনিস মনে রাখতে পার সে৷ আর আরাত্রিকার উৎসাহদাতা বাবা মা দাদু ঠাকুমার সহ পরিবারের সবাই ।এছাড়া ঘাটালের Kidzee স্কুল যেখানে আরাত্রিকা পড়াশোনা করে সেই স্কুল থেকে সহায়তা তো আছেই। তবে মূলত মায়ের কাছেই আরাত্রিকা সবকিছুর তালিম নেয়। দীর্ঘ ১৫ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি আরাত্রিকা গান, আবৃত্তি চলছে৷ নিজের জগৎ নিয়ে থাকতে ভালবাসে আরাত্রিকা৷ বাড়ির ছোট্ট সদস্যের এই কৃতিত্বে খুশি পরিবারের সকলে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।