হোম /খবর /মেদিনীপুর /
কর্মীরা কেউ শ্মশানের ডোম, কেউ টোটোচালক, অতিমারিতে বন্ধ সিনেমাহলকে ঢেকেছে আগাছা

SingleScreen CinemaHall: কর্মীরা কেউ এখন শ্মশানের ডোম, কেউ টোটোচালক, অতিমারিতে বন্ধ সিনেমাহলকে ঢেকেছে আগাছার জঙ্গল

আগাছার জঙ্গল গ্রাস করেছে মেদিনীপুরের (Medinipur) একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ ‘হরি সিনেমা হল’-কে৷

  • Last Updated :
  • Share this:

মেদিনীপুর : রিয়ার স্টল ৩০ টাকা, ব্যালকনি ৫০ টাকা, স্পেশাল ৯৫ টাকা ৷ কালোর উপর সাদায় লেখা বোর্ড তিনটে জ্বলজ্বল করছে এখনও ৷ নীচে জানালাগুলি কবে শেষ বার খোলা হয়েছিল, হয়তো মনে নেই তাদের কপাটেরও ৷ ধুলোর প্রলেপ সর্বত্র ৷ আগাছার জঙ্গল গ্রাস করেছে মেদিনীপুরের (Medinipur) একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ ‘হরি সিনেমা হল’-কে৷

অতিমারির গ্রাসে সর্বত্রই মুখ থুবড়ে পড়েছে গণবিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র সিনেমা হল৷ তার মধ্যে সিঙ্গল স্ক্রিন হলগুলির অবস্থা তো তথৈবচ ৷ রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে মেদিনীপুরের অবস্থাও একইরকম ৷ মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুর এলাকার হরি সিনেমাহল এখন পরিত্যক্ত ৷ মরচে ধরা লোহার ফটকে ঝুলছে তালা ৷ বর্ষার জলে আগাছায় ঢেকেছে ফটক থেকে হলের দরজা অবধি পায়ে চলা পথ ৷

এই প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রায় ১০০ টি পরিবার এক বছরের বেশি সময় ধরে বিপাকে ৷ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সিনেমহলের বাইরে সাইকেলস্ট্যান্ড ৷ অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলোও আবার কবে বসবে, বা আদৌ বসবে কিনা, কেউ জানে না ৷

‘হরি’ সিনেমা হলের সঙ্গে যাঁদের রুটিরুজি জড়িয়ে ছিল, তাঁদের কেউ এখন শ্মশানে ডোমের কাজ করেন ৷ কেউ আবার অন্নসংস্থানের জন্য সংবাদপত্রের হকারি শুরু করে ছেন ৷ পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে কেউ বসেছেন টোটোচালকের আসনে ৷ কিন্তু অনিশ্চয়তা তাড়া করে বেরিয়েছে সর্বত্র ৷

তাঁরা সকলে চান, কোভিডবিধি মেনে হরি সিনেমা হলটিও খোলা হোক ৷ যেমন ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলছে, তেমন ৫০ শতাংশ দর্শক-সহ আবার রঙিন হোক হরি সিনেমা হলের পর্দা ৷

প্রসঙ্গত কোভিডবিধি ও লকডাউন নির্দেশিকা মেনে ৫০ শতাংশ আসনে দর্শক-সহ সিনেমাহলগুলিকে খোলার জন্য সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস অ্যাসোসিয়েশন বা ইম্পা-র তরফে জানানো হয়েছে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলি খুলবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত তাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷

মেদিনীপুরের একমাত্র সিনেমা হলের সঙ্গে একসময় জড়িয়ে থাকা পরিবারগুলি চান ‘রাখে হরি মারে কে’ প্রবাদ সত্যি হোক তাঁদের ক্ষেত্রেও ৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: West Midnapore