Medinipur Medical College: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য! চিকিৎসকদের নামেও উঠল বড় অভিযোগ
- Published by:Salmali Das
- news18 bangla
- Reported by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভয়াবহ দুর্দশার ছবি রিপোর্টে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের কাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেডিক্যাল কলেজের ওটি রুমে পরিষ্কার এবং স্টেরিলাইজেশন হয় না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ফ্লোরে রক্ত ছড়িয়ে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। কর্তৃপক্ষ কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় না এটা একটা প্রতিদিনের নজির হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওটি স্টাফ থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচারের জন্য যেসব চিকিৎসকরা নিযুক্ত থাকেন তাঁরা তাঁদের একটা অপারেশন থেকে অন্য অপারেশনে যাওয়ার জন্য ওটি গাউন পরিবর্তন করার দরকার হলেও তা করা হয় না। প্লাস্টিক গাউন পরেই অনেক সময় অস্ত্রপচার শুরু করে দেন যা প্রটোকল বিরোধী। ওটি করিডোড়ে কোন সিসিটিভি নেই। তার জন্য ওটি কমপ্লেক্স এ কারা যাচ্ছেন এবং কারা বেরোচ্ছেন তার কোন গতিবিধি নজরদারি করা সম্ভব নয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একাধিক দুর্দশার ছবি উঠে এলো তদন্ত কমিটির রিপোর্টে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১৫ দিনেই কোলেস্টেরলের মুখে ছাই! এক পানীয়তেই গলে গলে পড়বে চিপচিপে পদার্থ! হার্ট অ্যাটাকের চান্স জিরো
advertisement
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চিকিৎসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথা উঠে এল। ডক্টর সৌমেন দাস তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি সঠিকভাবে। তাঁকে ডাকা হলে তিনি শুধুমাত্র একবারই একটি রোগীর জন্য অপারেশন থিয়েটারে ঢোকেন। অস্ত্রচার প্রথম সহযোগী করেছেন দ্বিতীয় সহযোগীর সহায়তায়।এটা প্রতিদিনের একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ইউনিটে। ডক্টর সৌমেন দাস যিনি সার্জেন তিনি ওটিতে ছিলেন না। তিনি ওটি কমপ্লেক্সের দায়িত্বে ছিলেন।স্পাইনাল এন্থ্রিশিয়া এই পাঁচটি ঘটনার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট পিজিটিদের দ্বারা। যিনি spinal anesthesia করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি দেননি। রেজিস্টার থেকে সেই তথ্য পাওয়া গেছে। রেকর্ড থেকে যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আরএমও অপারেশন বা অস্ত্রোপচারের প্রসিডিওর ঠিকঠাক ভাবে পালন করেননি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
এই পাঁচজন রুগীর আত্মীয়দের থেকে একটি মুচলেখা নেওয়া হয়েছিল। যা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এলো। মুচলেকায় লেখানো হয়েছিল “ডাক্তারবাবুর থেকে জানলাম অপারেশনের সময় যেকোনও স্যালাইন বা ইনজেকশন-এর জন্য রোগী শকে চলে গিয়েছে। যার কারণে রোগীর প্রস্রাব কম হচ্ছে এবং অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং রোগীর জীবনহানি হতে পারে। সবকিছু জেনে চিকিৎসার অনুমতি দিলাম। “
advertisement
ওষুধের কারণে যে এরকম সমস্যা হতে পারে তা রোগের পরিবারকে আগেই জানানো হয়েছিল বলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে চিকিৎসকদের রোস্টার নিয়েও প্রশ্ন। চিকিৎসকদের রোস্টার থেকে এটা স্পষ্ট কোন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিস বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কোন রোগীদের রুটিন মাফিক বা কল দিলেও তাঁদের দেখতে আসেননি।
advertisement
ডিউটি রোস্টার এ যে সমস্ত চিকিৎসকদের নাম রয়েছে তাঁদের একদিন দেখা মিলল অন্যান্য দিন তাঁরা নেই। তাই এটা পরিষ্কার নয়, তাঁরা গোটা সপ্তাহ কী করলো? তাই ওষুধের প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেটাও যেমন এড়ানো যায় না অপারেশনের জন্য নির্দিষ্ট প্রটোকল মানা হয়নি সেটাও এড়ানো যায় না।চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তখনই আসা সম্ভব যখন ওষুধের পরীক্ষা এবং তার বিশ্লেষণ এবং তার সঙ্গে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 14, 2025 4:31 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Medinipur Medical College: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য! চিকিৎসকদের নামেও উঠল বড় অভিযোগ