Madhyamik Examination 2025: বাবা-মা দৃষ্টিহীন, ভিক্ষা করে দিনযাপন! মাধ‍্যমিক দিতে কীভাবে পৌঁছবে মেয়ে? সাহায্য করল কে জানেন?

Last Updated:

Madhyamik Examination 2025: চুঁচুড়া চকবাজারের বাসিন্দা স্নেহা হুগলি গার্সল স্কুলের ছাত্রী। বাড়ির কাছেই স্কুলে এতদিন পড়াশোনা তার। কিন্তু মাধ্যমিকের সিট পড়েছে শিক্ষা মন্দির স্কুলে। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। কীভাবে পরীক্ষা দিতে যাবে? ভাবনা ছিল।

+
পরীক্ষার্থীকে

পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মী

হুগলি: মাধ্যমিক প্রত্যেক পড়ুয়ার জীবনে প্রথম বড় পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় কিছুটা ভয় কিছুটা উৎকন্ঠা কাজ করছিল স্নেহা হালদারের। চুঁচুড়া চকবাজারের বাসিন্দা স্নেহা হুগলি গার্সল স্কুলের ছাত্রী। বাড়ির কাছেই স্কুলে এতদিন পড়াশোনা তার। কিন্তু মাধ্যমিকের সিট পড়েছে শিক্ষা মন্দির স্কুলে। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। কীভাবে পরীক্ষা দিতে যাবে? ভাবনা ছিল।
স্নেহার মা শিবানী হালদার এবং বাবা মৃত্যুঞ্জয় হালদার, দু’জনেই দৃষ্টিহীন। ট্রেনে ভিক্ষা করেন। তাদেরই পথ চলতে মেয়ের সাহায্য নিতে হয়। কীভাবে হবে মেয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া? দুশ্চিন্তায় ছিলেন স্নেহার মা-বাবা। তখনই সহায় হলেন পুলিশকর্মী সুকুমার উপাধ্যায়।
advertisement
advertisement
সুকুমার চন্দননগর পুলিশের কনস্টেবল। দৃষ্টিহীনদের নিয়ে কাজ করার সুবাদে স্নেহার মা বাবার সঙ্গে তার পরিচয়। স্নেহার মা সুকুমারকে ভাইফোঁটা দেন সেই পরিচয়ের সুবাদে। স্নেহার মাধ্যমিক পরীক্ষা তাই তাকে বোর্ড পেন থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দেন পুলিশ মামা। পরীক্ষাকেন্দ্র যে স্কুলে সেই স্কুল গতকাল দেখিয়ে নিয়ে আসেন তার বাইকে বসিয়ে। যদি স্নেহাকে এক একা যেতে হয় তার জন্য শ’দুয়েক খুচরো টাকাও দেন।
advertisement
পুলিশের কাজে ছুটি নেই। কখন কোথায় যেতে হয়। তাই স্নেহাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেও ভাবনায় থাকেন যদি সময়ে যেতে না পারেন, যদি কাজ পরে যায়! তবে আজ প্রথম পরীক্ষার দিন দূরে কোথাও কাজ পরেনি বলে সুকুমার স্নেহাকে নিয়ে সকাল সকাল পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। পুলিশ মামার বাইকে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় স্নেহা তাই খুশি।
advertisement
পরীক্ষায় ভালো ফল করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় স্নেহা। মা বাবার সহায় হতে চায়। ভাইকে বড় করতে চায়। যে কষ্ট তাদের জন্য মা বাবা করছেন তাদের জন্য কিছু করতেই হবে তাকে। সেই লক্ষ‍্যে এগিয়ে যেতে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ভাল করে দিতে দিতে চায়।
advertisement
তার মা শিবানী হালদার বলেন, ‘‘আমিও মাধ্যমিক পাশ করেছি। ইচ্ছা থাকলেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাইনি। মেয়ে যতদূর চায় পড়ুক। সুকুমার আমাদের কাছে একজন পুলিশ কর্মী না, স্নেহার মামা। তাই তার উপকার ভুলব না। কথায় বলে মামা ভাগ্নী যেখানে বিপদ নাই সেখানে। আমার মেয়েরও কোনও বিপদ হবে না সুকুমারের মত মামা থাকায়।’’
advertisement
রাহী হালদার 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Madhyamik Examination 2025: বাবা-মা দৃষ্টিহীন, ভিক্ষা করে দিনযাপন! মাধ‍্যমিক দিতে কীভাবে পৌঁছবে মেয়ে? সাহায্য করল কে জানেন?
Next Article
advertisement
Success Story: বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন
বাবা-মা সরকারি অফিসার, মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থানে, এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেলেন
  • বাবা-মা সরকারি অফিসার

  • মেয়ে UPSC পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন

  • এবার ২ কোটি টাকার পুরস্কারও পেয়েছেন

VIEW MORE
advertisement
advertisement